- বইঃ জলরঙ
- লেখকঃ সুব্রত কুমার মোহন্ত
- পৃষ্ঠাঃ ১৪৪
নবনীতা নামের এক মেয়ের জীবনের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে বইটিতে। নবনীতার বাবার টাকা-পয়সার অভাব না থাকলেও সবসময় তিনি চেয়েছেন মেয়েদেরকে আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। নবনীতা ঠিক বাবার মতোই হয়েছে। কিন্তু ছোটবোন হয়েছে একটু আলাদা।
নবনীতা ও রঙ্গনের বিয়ে হয় পারিবারিকভাবেই। নবনীতা এবং রঙ্গনের পারিবারিক জীবনের প্রথমদিকে পড়তে এতটা ভালো লেগেছে আমার, মনে হয়েছে প্রত্যেকটা মেয়েরই চাওয়া থাকে এমন একটা স্বামী ও পরিবার। দু'জনের বোঝাপড়াও ঠিক তেমন।
কিন্তু শেষটা পড়তে গিয়ে মনের মধ্যে তৈরি হয়েছে হাহাকার।
বইটির শুরু থেকে শেষ একদম মন ছুঁয়ে গেছে। অনেক কিছুই শিখতে পেরেছি বইটি থেকে।
লিখার মান খুবই সুন্দর ছিলো। লেখককে আবারও ধন্যবাদ এমন সুন্দর বই পাঠকদের উপহার দেওয়ার জন্য। শুভকামনা রইলো। আগামী বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম।
বই থেকে কয়েক লাইনঃ
আশ্চর্য! এটা যে জলরঙে আঁকা তারই প্রতিচ্ছবি। যে এঁকেছে সে কী নিখুঁতভাবে ছবিটা এঁকেছে। নবনীতা আর এক নবনীতাকে দেখছে। কতদিন হয়ে গেলো এই মুখটাকে আর আয়নায় দেখা হয় না। আজ দেখছে, প্রাণভরে দেখছে। দেখতে দেখতে কখন যে বুকের মধ্যেকার জমাট বাঁধা বরফ গলে দু' ফোটা অশ্রু ছবিটার উপর পড়েছে বুঝতেই পারে নি নীতা। যখন বুঝলো তখন আঁচল দিয়ে জল মুছে ফেলতে গিয়ে খানিকটা রঙ ধুয়েমুছে গেল। তবে এতে তার একটুও খারাপ লাগছে না। তার জীবনটা তো জলরঙে আঁকা ছবির মতোই, যা সবাই দেখতে পায়। দেখতে পায় এক জিতে যাওয়া নারীকে। শুধু দেখতে পায় না, নোনা জলে গোপনে কীভাবে ধুয়েমুছে যায় সে রঙ প্রতিদিন।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....