বই : "কারমিল্লা" (পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ)
◾লেখক : জোসেফ শেরিড্যান লে ফানু
◾অনুবাদ : লুৎফুল কায়সার[ Lutful Kaiser ]
◾সম্পাদনা : মহিউল ইসলাম মিঠু
◾প্রচ্ছদ : সজল চৌধুরি[ Sultan Azam Sazal ]
◾প্রকাশনায় : বেনজিন প্রকাশন
◾বানান সংশোধন : বীক্ষন সম্পাদনা সংস্থা
◾জনরা : গথিক হরর
◾প্রথম প্রকাশ : আগস্ট,২০২২
◾মুদ্রিত মূল্য : ৩০০ টাকা
আচ্ছা ব্যাপার কি শুধুই একটা দুঃস্বপ্ন ছিলো? আমার মনে হয় না! কারণ আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে বেশ সচেতন ছিলাম।
আমি যে শুয়ে আছি, আমার ঘরে আছি, সেটাও বেশ ভালোমতোই বুঝতে পারছিলাম। ঘরের চারপাশ এবং আসবাবপত্রগুলোও যেন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম। কিন্তু চারদিকে কেমন যেন অন্ধকার, সেই টিমটিমে আলোটা আর জ্বলছিলো না, মেঝেতে আমার পায়ের দিকে কিছু যেন একটা নড়ে উঠলো। ওটা কী তা উঠে দেখার চেষ্টা করলাম, কিন্তু পারলাম না! শরীর যেন বিছানায় আটকে গেছে! ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে লাগলো ওটা, দেখতে পেলাম..... মিশমিশে কালো বড় আকৃতির একটা বিড়ালের মতো জন্তু! চার-পাঁচ ফুটের মতো লম্বা ওটা... খাঁচায় বন্দি হিংস্র জানোয়ারের মতো এপাশ-ওপাশ করছে! চিৎকার করতে চাইলাম, কিন্তু গলা দিয়ে আওয়াজ বের হলো না। প্রচণ্ড ভয়ে বিছানার সাথে মিশে গেলাম যেন! জিনিসটা আরো জোরে এগিয়ে আসতে লাগলো আমার মুখের কাছে, ঘরের অন্ধকার যেন ক্রমাগতই আরো গাঢ় হয়ে উঠছিলো! ওর জ্বলন্ত চোখদুটো ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। আস্তে করে লাফিয়ে ওটা যেন আমার বিছানায় উঠে বসলো।
ভয়ংকর ওই চোখদুটো এগিয়ে আসছে আমার দিকে... কাছে আরো কাছে! হুট করেই বুকের কাছে সুচ ফোটার মতো যন্ত্রণা হলো... যেন একজোড়া সুচ আমার বুকের এক বা দুই ইঞ্চি গভীরে ঢুকে গেছে! শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো!
চিৎকার করে জেগে উঠলাম। কই অন্ধকার? মোমবাতিটা তো জ্বলছে! সেই আলোতে দেখলাম আমার পায়ের ডানদিকে বিছানা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে অদ্ভুত এক নারীমূর্তি। কালো রঙের একটা ঢিলেঢালা পোশাক তার পরনে .... কাঁধের ওপর ছড়িয়ে আছে এলোচুল।
চুপচাপ দাঁড়িয়ে মেয়েটা, একটুও নড়ছে না! এমনকি শরীরে শ্বাস প্রশ্বাসের মৃদু কম্পনটুকুও নেই। হে ঈশ্বর! একটা পাথরের চাঁইও তো অমন নিথর হতে পারে না !
তীব্র আতঙ্কে চোখ বন্ধ করে ফেললাম....
◾ বইটি অর্ডার করতে পারবেন আপনার পছন্দের যেকোনো বুকশপে.....
~ বেনজিন প্রকাশন
রসায়ন জমুক বইয়ের সাথে.......
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....