কপোত-কপোতীর সংসার
সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে অয়ন ও মাহার। পেশায় অয়ন একজন ইঞ্জিনিয়ার, অপর দিকে মাহা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্তব্যরত। বিয়ের ৫ম দিন ভোর সকালে ঘুম থেকে জাগে নতুন এই দম্পতি। ফজরের নামাজ পড়া শেষ হলে মাহা অয়নকে বলে, “চলো আজ হাঁটতে যাই। শরীর ও মন দুটোই ভালো লাগবে।"
অয়ন প্রথমে সম্মতি না দিলেও পরে রাজি হয়।
তারপর দুজন মিলে সো কলড “মর্নিং ওয়াক"-এ বের হয়। হাঁটতে হাঁটতে অয়ন একটু খুনসুটির সুরেই বলে, “মাহা তুমি তো দেখি মটু হয়ে যাচ্ছো। আর এইদিকে আমি পাতলুই রয়ে গেলাম।"
মাহাঃ হ্যাঁ। কথা তুমি কিঞ্চিৎ সত্যই বলেছো। তোমার কিন্তু সকালে হাঁটার দরকার নেই।
অয়নঃ কিছু মনে করেছো নাকি আবার?
মাহাঃ আরে না। কি আবার মনে করবো।
অয়নঃ আচ্ছা তোমাকে একটা কবিতা শোনাই?
মাহাঃ আচ্ছা শোনাও। অনেকদিন হলো তোমার কবিতা শুনিনা।
অয়নঃ “তোমাকে নিয়ে যদি
লিখে ফেলি হাজার খানেক
কবিতা কিংবা গল্প।
তবুও মনে হবে
এ বুঝি অল্পের চেয়েও অল্প।"
আমার এই চারটি লাইন কেমন লেগেছে ম্যাডাম?
মাহাঃ বাহ! অসাধারণ।
তোমার কবিতা দিয়ে যেন কত মেয়ের রাতের ঘুম হারাম করেছিলে কে জানে।
অয়নঃ ধুর!! কি যে বলো তুমি। আমার এই অধমের কবিতার পাগল অনেকেই ছিলাম। কিন্তু...
মাহাঃ কিন্তু কি? বলো।
অয়নঃ কিন্তু আমি শুধু একজনেরই পাগল ছিলাম।
মাহাঃ সে-ই একজনটা কে শুনি?
অয়নঃ তুমি! তুমি! তুমি!!!
তুমি ছাড়া কেউ ছিলোনা আমার এই মনে।
মাহাঃ আর আমার মনে বুঝি তোমাকে ছাড়া অন্য কেউ ছিলো?
অয়নঃ সেটা আর আমি বললাম কোথায়?
মাহাঃ আচ্ছা বাদ দাও। চলো এখন বাসায় যাই। সবাই মনে হয় আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেছে।
অয়নঃ আচ্ছা চলো। কিন্তু যাওয়ার আগে আমরা কিছু ছবি তুলে রাখি। সারাজীবন স্মৃতি হয়ে থাকবে এইগুলো। কোনো একসময় বৃদ্ধ বয়সে ছবি গুলো দেখে বলতে পারবো আমাদের প্রথম মর্নিং ওয়াক ছিলো এটা।
মাহাঃ আচ্ছা আমার ফোনেই তুলি।
ছবি তোলা শেষ হলে দুজনেই বাড়ির দিকে রওনা হয়। বাড়িতে এসে দেখে সবাই তাদের জন্য টেবিলে নাস্তা সাজিয়ে অপেক্ষা করতেছে।
মোঃ ফিরোজ
ভলান্টিয়ার কন্টেন্ট রাইটার,
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....