মা ( ১৯৩৮ সালে নোবেলজয়ী)
মূলঃ পার্ল এস বার্ক
অনুবাদঃ বশীর রাডার্ক
প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ
প্রথম প্রকাশঃ ১৯৩৪
বাংলাদেশী প্রকাশনা সংস্থাঃ সন্দেশ ২০০৮ সালের একুশে বইমেলা
পৃষ্ঠাঃ ১৭৮
মূল্যঃ ২৫৫ টাকা মাত্র।
মূলঃ পার্ল এস বার্ক
অনুবাদঃ বশীর রাডার্ক
প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ
প্রথম প্রকাশঃ ১৯৩৪
বাংলাদেশী প্রকাশনা সংস্থাঃ সন্দেশ ২০০৮ সালের একুশে বইমেলা
পৃষ্ঠাঃ ১৭৮
মূল্যঃ ২৫৫ টাকা মাত্র।
পার্ল এস বার্ক এর পড়া দ্বিতীয় বই এটি। এতো সুন্দর গুছিয়ে লেখা বই গুলো পড়লে মনে হবে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের জীবনের ছোট ছোট গল্প গুলো জুরে দেওয়া তার মা উপন্যাস।
মা নিত্যান্তই নোবেলের দাবী রাখে এবং মা দিয়েই পার্ল এস বার্ক প্রথম নারী হিসেবে আমেরিকা সাহিত্য হিসেবে নোবেল অর্জন করে।
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র চীনের গরিব নিরহংকার একজন মা কে কেন্দ্র করে। সে তার শাশুড়ী কে অনেক ভালোবাসতো। স্বামীর সাথে প্রায়শই ঝগড়া থাকতো কিন্তু তা ঐ দিন অবধি পর্যন্তই। সুখে থাকতো তাদের দিনগুলো। জমিদারের কাছ থেকে নেওয়া বর্গা জমি গুলো নিজেই তদারকি করে। বীজ বপন থেকে মারাই করা পর্যন্ত।
হঠাৎ নতুন নীল জামা পড়ে স্বামী শহরে যায় এবং সে আর তার স্ত্রী, মায়ের কাছে ফেরত আসে না।
জীবন যুদ্ধ নামতে হয় মা কে। মিথ্যা কথা গ্রামবাসীকে বলতে হয় যে স্বামী বেঁচে আছে শহরে গেছে কাজ করতে। অভিনব মিথ্যা কথা বলে বেড়াতে হয় নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য।
নায়েবের কুঃদৃষ্টি পরে মা এর উপর এক সময় নায়েবের উপর এক সময় দৈহিক সম্পর্ক হয় এটা হয় একটা মন্দিরের ভেতর সেখানে একটা দেবতার মূর্তি থাকে। সে তার গায়ের জামা খুলে দেবতার শরীর ঢেকে দেয়। শারীরিক সম্পর্কের ফলে ভ্রুন এসে যায়।
স্বামী না আসায় অন্ত সত্তা মা নায়েবের মনোযোগ আকৃষ্ট করতে ব্যার্থ হয়। নায়েব তাকে ঘৃনার চোখে দেখে। মা জীবনের বড় ভুল করে ফেলে এবং অনুতপ্ত হয়। জা কে দিয়ে তা মুক্তি লাভ ও করে। কিন্তু তার জীবনের অভিশাপের মতো মনে করে এটা একটা পাপ মনে করে।
তার একটা অন্ধ মেয়ে থাকে। বড় পুত্র বিয়ে করে বউ নিয়ে আসে। পুত্রবধূ তার অন্ধ মেয়েকে বিয়ে দিতে বলে যার ফলে গ্রামের কুটনি বুড়ির সহায়তায় না জেনে জঙ্গলি পাগলের কাছে বিয়ে দেয়। সেখানে অন্ধ মেয়েটার মৃত্যু হয়। ছোট ছেলেটা কমিন্টিস্ট করতো। তারো সাজা হিসেবে হয় মৃত্যুদন্ড। ছোট ছেলেটাকে দেখতে অবিকল তার বাবার মতো দেখায়।
এসব তার জীবদ্দশায় দেখতে হয়। সে মনে করে এটা সেই পাপ যা মন্দিরের ভেতর দেবতার চোখ ঢেকে করেছিলো।
পুত্রবধূর কোন সন্তান হয় না এটা সে দায়ী করে তার পুত্রবধূর নিরুত্তাপ বলে। ছেলে কে আরেকটা বিয়ে করাতে চায় কিন্তু ছেলে রাজি হয় না। পুত্রবধূ তার শাশুড়ী কে অনেক যত্ন করে।
দীর্ঘ ৭ বছর পর পুত্রবধূর একটা ছেলে সন্তানের জন্মদেয়।
সেই নাতি কে নিয়ে মা মেতে উঠে ভুলে থাকে পেছনের করুণ অধ্যায় গুলো।
বইহোক নিত্যদিনের সঙ্গী
- মাইদুল ইসলাম ইরাত। ~~ঔ
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....