- Title : ম্যানস সার্চ ফর মিনিং (PDF Available In Original)
- Author : ভিক্টর ই. ফ্র্যাঙ্কেল
- Translator : রাকিবুল রকি
- Publisher : চর্চা গ্রন্থ প্রকাশ
- ISBN : 9789849268215
- Edition : 1st Published, 2020
- Number of Pages : 160
- Country : বাংলাদেশ
- Language : বাংলা
ম্যানস সার্চ ফর মিনিং বইটিতে যে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বর্ণনা করা হয়েছে, তা লক্ষাধিক বন্দীর অসংখ্যবার সম্মুখীন হয়ে আসা পরিস্থিতির আখ্যান। একজন ভুক্তভোগীর লেখনীতে, তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, বন্দীশিবিরের অভ্যন্তরীণ অবস্থার বিবরণী এখানে তুলে ধরা হয়েছে। শিবির সংক্রান্ত যে ধরনের ত্রাসের কথা আগেও অনেকবার বিভিন্ন রচনায় উঠে এসেছে, তা এখানে বলা হয়নি; বরং প্রতিদিনের অসংখ্য তুচ্ছ পীড়নের প্রেক্ষাপটে এই লেখা। অর্থাৎ এখানে একটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হবে ।
লেখক ভিক্টর ই. ফ্র্যাঙ্কেলের সেরা কাজগুলোর একটি। বইটিকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে কাটানো লেখকের ৫ বছরের অভিজ্ঞতার ফল বলা যায়। এর প্রথম অংশে তিনি আলোচনা করেছেন সেখানকার কঠিন দিনগুলো কেমন ছিল। কত কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায় সেখানকার বন্দিরা। দ্বিতীয় অংশের আলোচনা লোগো-থেরাপি নিয়ে। একজন সাইকোথেরাপিস্ট হিসেবে তিনি এই কাজটা সফলভাবে করেছেন।
লেখক ফ্র্যাঙ্কেল বিশ্বাস করতেন, মানব মনের সবচেয়ে বড় চাওয়া হচ্ছে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া। মানুষ জীবনের অর্থ জানতে চায়, কারণ জানতে চায়। বন্দি শিবিরের অভ্যন্তরীণ বিবরণ, বন্দি থাকতে থাকতে বন্দিদের ধীরে ধীরে মানসিক পরিবর্তন, জীবনের অর্থ হারিয়ে ফেলা, স্রোতের বিপরীতে চলা কিছু আশাবাদী বন্দিদের স্বপ্ন বোনার গল্প সহ অনেক বিষয় উঠে এসেছে পুরো বই জুড়ে।
লেখক ফ্র্যাঙ্কেল বিশ্বাস করতেন, মানব মনের সবচেয়ে বড় চাওয়া হচ্ছে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া। মানুষ জীবনের অর্থ জানতে চায়, কারণ জানতে চায়। বন্দি শিবিরের অভ্যন্তরীণ বিবরণ, বন্দি থাকতে থাকতে বন্দিদের ধীরে ধীরে মানসিক পরিবর্তন, জীবনের অর্থ হারিয়ে ফেলা, স্রোতের বিপরীতে চলা কিছু আশাবাদী বন্দিদের স্বপ্ন বোনার গল্প সহ অনেক বিষয় উঠে এসেছে পুরো বই জুড়ে।
কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের অভিজ্ঞতা
এই বই নিছক কোনাে ঘটনার সাধারণ বর্ণনা নয়। এখানে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে বন্দি লাখ লাখ মানুষের নির্যাতনের, নিপীড়নের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে যে কী অমানুষিক নির্যাতন করা হয়, সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প নামক দোজখ থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে আসা এক ব্যক্তির জবানীতে।
এইসব ক্যাম্পের ভয়ঙ্কর অত্যাচারের কথা বিভিন্ন লেখায় ইতােমধ্যেই উঠে এসেছে। কমবেশি সবাই তা জানেও। কিন্তু এই গল্পে প্রতিদিনকার ছােট ছােট বিভিন্ন খুটিনাটির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সহজ করে বলতে গেলে, কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে একজন বন্দির প্রতিদিনের জীবন কেমন ছিল, তার মনে এ ঘটনাগুলাে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে, সেই প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে।
এখানে অখ্যাত অনেক ছােট ছােট ক্যাম্পের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যেগুলাে বিখ্যাত ক্যাম্পের ঘটনার আড়ালে রয়ে গিয়েছিল। বিখ্যাত বীর বা বন্দিদের উপর নির্যাতন বা হত্যার গল্প এখানে বলা হয়নি। বলা হয়নি বিখ্যাত কাপােদের কথা। যেসব বন্দি ট্রাস্টি হবার কারণে বিভিন্ন সুযােগ সুবিধা পেয়েছে অথবা যেসব বন্দি ইতােমধ্যেই সুপরিচিত, তাদের কথাও বলা হয়নি এখানে।
তাহলে কাদের কথা বলা হয়েছে এখানে?
বলা হয়েছে সেই সব সামরিক বাহিনীর লােকদের কথা, সাধারণ মানুষদের কথা, যাদের আত্মত্যাগ লােকচক্ষুর আড়ালেই রয়ে গেছে । কাপােদের সাথে এই বন্দিদের জীবনযাপনে ছিল বিস্তর ফারাক। কাপােদের কখনাে না খেয়ে থাকতে হতাে না।
অথচ এইসব বন্দিরা ঠিক মতাে খাবার পেত না, খাবার পেলেও সেই খাবারে অনেক সময়ই পেট ভরতাে না। অবাক করা বিষয় হলাে, এসব কাপােদের অনেকেই স্বাভাবিক জীবন যতটা আরামে কাটিয়েছে, তার চেয়ে বেশি আরামে কাটিয়েছে এই ক্যাম্পে। বন্দিদের প্রতি এসব কাপােরা গার্ডের চেয়ে কঠোর এবং এসএস সদস্যদের চেয়ে বেশি নিষ্ঠুর আচরণ করতাে। মারধাের করত।
বন্দিদের মাঝ থেকে তাদেরই কাপাে হিসেবে নির্বাচন করা হতাে, যারা সব সময় অনুগত থাকবে। উপর মহলের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবে। যদি কেউ কখনাে তাদের কথা অমান্য করতাে, সাথে সাথেই শাস্তিস্বরূপ তাদের অপদস্থ করা হতাে।
এইসব কাপােরা খুব অল্পসময়ের মধ্যেই এসএস সদস্যদের মতাে আচরণ করা শুরু করতাে। বলা চলে এসএস সদস্যদের মানসিকতা এবং তাদের মানসিকতা একই রকম হয়ে যেত।
বাইরের মানুষের বন্দিজীবন সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকে। কারণ তারা সহানুভূতি এবং কৃপার চোখে তাদের দেখে । একজন বন্দিকে বেঁচে থাকার জন্য যে ভীষণ সংগ্রাম করতে হয়, তা অনেকেই জানে না। বুঝতে পারে না, সামান্য রুটির জন্যেও তাদের কত অবর্ণনীয় কষ্ট করতে হয়।
বন্দিদের এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার সাধারণ গাড়ীগুলােও ছিল একেকটি বিষাক্ত গ্যাস চেম্বার । দুর্বল, কাজে অক্ষম কয়েদিদের একটি কেন্দ্রীয় ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হতাে। ভাবছেন, সেখানে চিকিৎসা দেয়া হতাে? ভুল। সেটি ছিল বিষাক্ত গ্যাস চেম্বার। সাক্ষাৎ শ্মশান ।
কয়েদিদের মধ্যে ঝগড়া লাগিয়ে, এক গ্রুপের সাথে অন্য গ্রুপের লড়াই বাধিয়ে দিয়ে অক্ষম, দুর্বল কয়েদি নির্বাচন করা হতাে।
সবারই চেষ্টা থাকতাে নিজের বা নিজের কাছের লােকদের নাম যেন এ তালিকায় না ওঠে। তবে সবাই জানতাে, একজনের নাম বাদ পড়লে সে জায়গা অন্য আরেকজনের নাম উঠবেই।
প্রতিবারই গাড়িতে করে নির্দিষ্ট সংখ্যক কয়েদি নিয়ে যাওয়া হতাে। কখনােই তার কম হবার জো ছিল না। এটি যেন মামুলি ব্যাপার। কারণ কয়েদিরা সেখানে ছিল নিছকই একটি সংখ্যা। সংখ্যা ছাড়া তাদের কোনাে পরিচয় ছিল না।
এ ক্যাম্পে নিয়ে আসার পর কয়েদিদের কাছ থেকে তাদের বিভিন্ন। জিনিসপত্রের সাথে সব ধরনের কাগজপত্রও নিয়ে নেয়া হতাে।
তবে এক্ষেত্রে বন্দিদের ভুল নাম, ঠিকানা দেয়ার সুযােগ ছিল। অনেকেই তা করতাে। কর্তৃপক্ষ এসব নিয়ে মাথা ঘামাতাে না। তারা শুধু দেখতাে সংখ্যাটা ঠিক আছে কি না? এসব সংখ্যা প্রায়ই তাদের শরীরে ট্যাটু করে লিখে দেয়া হতাে অথবা জামা, প্যান্ট কিংবা কোটে সেলাই করে লাগিয়ে দেয়া হতাে। কোনাে প্রহরী যদি কোনাে বন্দির বিরুদ্ধে অভিযােগ করতে চাইতাে, তাহলে সে এক পলক বন্দির নম্বরটি দেখে নিত। নাম জিজ্ঞেস করার কোনাে প্রয়ােজন ছিল না।
আগের কথায় ফেরত আসা যাক। সেখানে নীতি, নৈতিকতার কোনাে বালাই ছিল না। সেখানে সবার একটিই চিন্তা ছিল। কীভাবে পরিবার পরিজনের কাছে ফিরে যাওয়া যায়! কীভাবে বন্ধুদের রক্ষা করা যায়! কোনাে দ্বিধা, গ্লানি ছাড়াই এক কয়েদি অন্য কয়েদির নাম বা সংখ্যা বসিয়ে দিত এই পরিবহনের যাত্রীদের তালিকায়।
ইতােমধ্যেই বলেছি, নেতিবাচক পদ্ধতিতে কাপােদের নির্বাচন করা হতাে। যারা সবচেয়ে বেশি হিংস্র, নিষ্ঠুর, তারাই কাপাে হবার জন্য নির্বাচিত হতাে (তবে ব্যতিক্রম যে ছিল না, তা নয়)।
এসএস বাহিনী দ্বারা পরিচালিত এই নির্বাচন প্রক্রিয়া ছাড়াও নিজেদের মধ্যেও এক ধরনের বাছাই প্রক্রিয়া ছিল। অনেক কয়েদিই ক্যাম্প থেকে ক্যাম্পে বন্দি জীবন কাটিয়ে স্বাভাবিক অনুভূতি হারিয়ে ফেলত। তারা শুধু বুঝতাে বেঁচে থাকতে হবে। নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য ভালাে কিংবা মন্দ সব ধরনের উপায়ই তারা গ্রহণ করতাে। প্রয়ােজনে প্রাণপ্রিয় বন্ধুদের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করতাে। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ ভাগ্যের সহায়তায় কিংবা অলৌকিক।
দুই.
যখনই কোনাে গার্ডের জন্য লােকের প্রয়ােজন হতাে তখন এই স্যাডিস্টদের নিয়ােগ দেয়া হতাে। এরা খুবই হিংস্র হতাে।
একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা বােঝা যাবে।
আমরা যখন কাজ করতে বাইরে যেতাম, দেখা যেত দুই তিন ঘণ্টা কাজ করার পর, শীতে একদম জমে যেতাম। হাত-পাগুলাে অসাড় হয়ে যেত । তখন গাছের ডালপালা দিয়ে জ্বালানাে আগুনে হাত-পা সেঁকে নিতাম আমরা। আগেই এই অনুমতি দেয়া ছিল। তারপরেও কিছু পিশাচ টাইপের ফোরম্যান ছিল, যারা কোনােভাবে আমাদের আগুনের কাছে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারলে আহ্লাদে আটখানা হয়ে যেত। কী যে খুশি হতাে তারা। শুধু তাই নয়, আগুনের চুলাকে কখনাে কখনাে বরফের উপর উল্টে ফেলে দিত। নিভিয়ে ফেলতে আগুন। তখন তাদের চেহারা দেখলে মনে হতাে, দুনিয়ায় তাদের মতাে খুশি-সুখী আর কেউ নেই।
কোনাে এসএস সদস্য যদি কাউকে অপছন্দ করতাে, তাহলে সেই এসএস সদস্য তার অপছন্দের বন্দিকে তার পরিচিত কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দিতাে। বলাবাহুল্য, বন্দিদের নির্যাতন করার ক্ষেত্রে তারা হতাে অদ্বিতীয়। এভাবে অপছন্দের লােকদের নির্যাতন করিয়ে তাদের বিকৃত রুচি চরিতার্থ করতাে।
তিন,
বছরের পর বছর বন্দিদের উপর এমন অত্যাচার দেখতে দেখতে গার্ডদের অনুভূতি ভোতা হয়ে গিয়েছিল। কেউ কেউ হয়তাে এসব কাজ করা থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু তারাও অন্যকে এই কাজ করা থেকে বাধা দেননি।
চার.
এটা অবশ্যই স্বীকার করা উচিত, কোনাে কোনাে গার্ড আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। আমি যে ক্যাম্প থেকে মুক্ত হয়েছিলাম, ওই ক্যাম্পের কমান্ডারের কথা আমাকে অবশ্যই বলতে হবে । মুক্ত হবার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়। আমাদের ক্যাম্পের ডাক্তার, যিনি নিজেও একজন বন্দি ছিলেন, আমি তাকে আগেই থেকেই চিনতাম।
তাে তিনি নিজের পকেটের টাকা দিয়ে কয়েদিদের জন্য নিকটস্থ শহরের মার্কেট থেকে ওষুধ আনাতেন। আরেকজনের কথা বলি, যিনি আমাদের ক্যাম্পের জ্যেষ্ঠ কারারক্ষী -তিনিও মূলত বন্দিই ছিলেন। পরে কারারক্ষীর দায়িত্ব পান। বললে বিশ্বাস করবেন না, তিনি এসএস সদস্যদের চেয়ে নিষ্ঠুর ছিলেন। পান থেকে চুন খসলেই তিনি বন্দিদের ভীষণ মারধাের করতেন। ক্ষমা করতেন না। অথচ ক্যাম্পের কমান্ডার আমার জানা মতে, কাউকেই কখনাে শাস্তি দেননি। কারাে বিরুদ্ধে কোনাে পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
এতে স্পষ্টই বােঝা যাচ্ছে, একজন মানুষ ক্যাম্পে বন্দি, নাকি কর্মকর্তা, তা তার আচরণে বােঝা যায় না।
মানবিক দয়া কখন কার কাছ থেকে পাওয়া যাবে, তা আগেই বলা যায় না। এমনও হতে পারে, যাদের ঢালাও ভাবে নিন্দা করলেও কেউ টু শব্দ করবে না, তারাও মানবিক আচরণ দেখাতে পারে। আসলে মানুষের মাঝে ফেরেশতা এবং শয়তান খুব কাছাকাছি বাস করে। তাই অনেক সময় জোর গলায় বলা সম্ভব হয় না, এই লােক ইবলিশ। খারাপ। এই লােক খুবই ভালাে। একেবারে ফেরেশতা।
তবে ক্যাম্পের যে পরিবেশ, এই পরিবেশে একজন গার্ড বা ফোরম্যানের বন্দিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া তাদের বড় মনেরই পরিচয় দেয় । ঠিক একই ভাবে নিজেও বন্দি হয়ে অন্য বন্দিদের উপর অত্যাচার করা তাদের ছােটলােকির পরিচয়ই দেয়। বন্দিরা তাদের সহবন্দিদের কাছে রূঢ় আচরণ পেলে ভীষণ কষ্ট পেতাে, তেমনি কারাে কাছ থেকে সহানুভূতিশীল আচরণ পেলে খুবই আবেগ তাড়িত হয়ে পড়তাে। একটি ঘটনা আমার স্পষ্ট মনে পড়ে।
Author Information
ভিক্টর ই, ফ্রাঙ্কেল ২৬ মার্চ, ১৯০৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনা থেকে তিনি এমফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি অশউইজ, ডাচাও এবং অন্যান্য কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে তিন বছর বন্দি ছিলেন। এই তিন বছরের বন্দি জীবনের আলােকে তিনি লেখেন, 'ম্যানস সার্চ ফর মিনিং’ বইটি । ১৯৪৬ সালে জার্মান ভাষায় প্রথম এই বইটি প্রকাশিত হয়। তখন বইয়ের শিরােনাম ছিল ‘এ সাইকোলজিস্ট এক্সপেরিয়েন্স দ্য কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প । ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত ইংরেজি সংস্করণে বইয়ের নাম রাখা হয় ‘ম্যানস সার্চ ফর মিনিং'। ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হবার সাথে সাথে বইটি বেস্ট সেলারের তালিকায় চলে আসে । শুধু ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত বইটিই এ পর্যন্ত কয়েক মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। ১৯৯১ সালে লাইব্রেরি অব কংগ্রেস এই বইটিকে আমেরিকার দশটি প্রভাবশালী বইয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ভিক্টর ই. ফ্রাঙ্কেল ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনা মেডিকেল স্কুলের নিউরােলজি ও সাইকিয়াট্রি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি থার্ড ভিয়েনাস স্কুল অফ সাইকোথেরাপি-র প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ৩৯ বই রচনা করেছেন। যা বিশ্বের ৪৯ ভাষায় অনূদিত হয়েছে । ড. ফ্রাঙ্কেল হার্ভাড, পিটসবার্গ, সান ডিয়াগাে এবং ডালাসের নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগত অধ্যাপক ছিলেন। সাতাশটি বিশ্ববিদ্যালয়। তাকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করেছে । ০২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ সালে তিনি পরলােক গমন করেন।
_____________________________________
অনুবাদক - রাকিবুল রকি
রাকিবুল রকি ১৯৮৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার কাশীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । আ, আউয়াল এবং রানু বেগমের দ্বিতীয় সন্তান তিনি। পড়াশােনা। করেছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে। বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়ােজিত। স্ত্রী মারজান আক্তার, পুত্র আহমদ রাইয়ান রৌদ্র। স্কুলে পড়াকালীন তার লেখালেখি শুরু। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় রয়েছে তার সম্মান বিচরণ। ইতােমধ্যে অনুবাদেও তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন। কাঠখোট্টা আক্ষক অনুবাদে তিনি বিশ্বাসী নন। মধ্যযুগে অনুবাদের যে ধারা চালু হয়েছিল বাংলা। সাহিত্যে, তিনি সেই ধারারই উত্তরসাধক। সহজসরল প্রাঞ্জল ভাষায় করা তার অনুবাদ পড়ে পাঠক লাভ করেন মৌলিক সাহিত্যের স্বাদ। তাঁর প্রকাশিত বইগুলাে হলােকাব্যগ্রন্থ : তুমি হাসলে সূর্যটা কেমন মন খারাপ করে নিভে যায় (২০১৫), ধান-কাউনের গল্প (২০১৮), মায়াবতীর জলে (২০২০)। গল্পগ্রন্থ : নিষিদ্ধ গল্প (২০১৭)। শিশুতােষ গ্রন্থ: আবীর ও হায়েনার গল্প (২০১৬), জমিদার বাড়ির গুপ্তধন (২০১৮)। অনুবাদ গ্রন্থ : দ্য অ্যালকেমিস্ট (২০১৮), কাজুও ইশিগুরাের গল্প (২০১৮), এলিয়েন এলাে স্কুলে (২০১৯), দ্য পাওয়ার অব ইয়াের সাবকনশাস মাইন্ড (২০২০)। যৌথ সম্পাদিত গ্রন্থ : মজার বই (২০১৫), পৌরাণিক শব্দকোষ (২০১৮) পুরস্কার: বাবুই শিশুসাহিত্য পাণ্ডুলিপি পুরস্কার (২০১৮), প্রিয় বাংলা পাণ্ডুলিপি পুরস্কার (২০২০)
Man's Search for Meaning is a 1946 book by Viktor Frankl chronicling his experiences as a prisoner in Nazi concentration camps during World War II, and describing his psychotherapeutic method, which involved identifying a purpose in life to feel positive about, and then immersively imagining that outcome. Wikipedia
- Originally published: 1946
- Pages: 200
- Genre: Psychology
- Language: German
- Original title: Ein Psychologe erlebt das Konzentrationslager
Author Information
Man's Search for Meaning has sold over 12 million copies. After which, Frankl was for a time, a minor figure in existential therapy and influenced humanistic psychology.
Frankl has been the subject of criticism from several holocaust analysts. They question the levels of Nazi accommodation inherent in the ideology of logotherapy. They also raise doubts in regard to acts which Frankl willingly pursued in the time periods before his internment.
According to critics, Frankl voluntarily requested to perform unskilled lobotomy experiments on Jews, which were approved by the Nazis, until his internment. Critics claim this is hinted at in Frankl's own autobiographical account, and then further illuminated later under the scrutiny of biographical research.
ম্যানস সার্চ ফর মিনিং : ভিক্টর ই. ফ্র্যাঙ্কেল | Man's Search for Meaning By Viktor Frankl এর অরিজিনাল কপি বইটি সংগ্রহ করুন : -
Wafilife Dot Com | Rokomari Dot Com
PDF Download This Book For Free [Download Now]
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....