নামাজের ভুলত্রুটি : লেখক মাওলানা তানজীল আরেফীন আদনান | Mistakes in prayer : Author Maulana Tanzil Arefin Adnan

বই : নামাজের ভুলত্রুটি
লেখক : মাওলানা তানজীল আরেফীন আদনান
প্রকাশনী : উমেদ প্রকাশ
বিষয় : সালাত/নামায
সম্পাদক : মাওলানা মাহমুদুল্লাহ
পৃষ্ঠা : 96, কভার : পেপার ব্যাক
ভাষা : বাংলা


মনে করুন, আপনি রুকুতে গিয়ে সূরা ফাতিহা পড়া শুরু করলেন, সিজদায় গিয়ে রুকুর তাসবিহ পড়লেন, অথবা সূরা ফাতিহার বদলে তাশাহুদ পড়তে শুরু করলেন।
রুকু দুইটা দিলেন, নাহয় দিলেনই না। রুকু না দিয়ে সিজদা করে ফেললেন। সিজদা দিলেন তিনটা, নাহয় একটা। দুই রাকাতের মাঝে না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন, চার রাকাত শেষে সালাম না ফিরিয়ে পঞ্চম রাকাতে দাঁড়ালেন। 

এই যে একটা গণ্ডগোল লেগে গেল, এখন করণীয় কী?কোথায় সাহু সিজদা দিতে হবে, কোথায় এর প্রয়োজন নেই, সাহু সিজদা দিতেও ভুলে গেলে করণীয় কী? সাহু সিজদা দিয়েছি কি না ভুলে গেলে কী করব?এই বইটি ঠিক এ ধরনের সমস্যার সমাধান নিয়েই সাজানো হয়েছে। 

নামাজের নানা রকমের ভুলত্রুটি সম্পর্কে সতর্ক হতে এই বইটা অত্যন্ত উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ।

নামাজে খুশু-খুযু বৃদ্ধির উপায়:

🔹পূর্ব প্রস্তুতি

যে কোনো কাজ গুরুত্ব সহকারে করার পূর্বে প্রস্তুতি নেয়া আবশ্যক। দুনিয়াবি যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার বহু আগ থেকেই আমরা প্রস্তুতি সেরে ফেলি, যাতে সেই কাজে কোনো ভুল-ত্রুটি না থাকে। নামাজের ভুল-ত্রুটি থেকে বাঁচার জন্য আমরা কজন পূর্ব প্রস্তুতি নিই? অথচ নামাজ হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত।

নামাজের পূর্ব প্রস্তুতির প্রথম বিষয়টি হলো সময়। নামাজে খুশু-খুযু বৃদ্ধির জন্য আযানের সাথে সাথেই নামাজের প্রস্তুতি শুরু করা আবশ্যক। অন্যথায় ইকামাতের কিছুক্ষণ আগে তাড়াতাড়ি উযু করে জামাতে শরীক হলে সে নামাজে খুশু-খুযু ধরে রাখা সম্ভব না। 

তাই নামাজের অন্তত ১৫-২০ মিনিট পূর্বেই মসজিদে গিয়ে ধীরে-সুস্থে সুন্নাত আদায় করে ইকামাতের আগ পর্যন্ত তিলাওয়াত বা যিকিরে মশগুল থাকা উত্তম। এতে ফরজ নামাজে খুশু-খুযু থাকে। দুনিয়াবি সমস্ত চিন্তামুক্ত হয়ে নামাজে দাঁড়ানোর জন্যও এতটুকু সময় প্রস্তুতি নেয়া জরুরি। অন্যথায় কোনো একটা কাজ থেকে উঠে গিয়েই নামাজে দাঁড়ালে সেই কাজের কথাই মাথায় ঘুরতে থাকে, খুশু-খুযু আসবে কোত্থেকে!

🔹পবিত্রতা:

ভালোমতো পবিত্রতা অর্জন নামাজে খুশু-খুযু বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। অনেকেই নামাজের কিছুক্ষণ পূর্বে কোনোরকম ওযু-ইস্তিঞ্জা সেরে জামাতে শরীক হন। এতে নাপাকি থেকে ভালোমতো পবিত্রও হওয়া যায় না, সুন্নাহ পদ্ধতিতে উযু করাও সম্ভব হয় না। ফলে নামাজের মধ্যে শয়তান বারবার ওয়াসওয়াসা দেয়, নাপাকির ফোঁটা মনে হয় কাপড়ে পড়ছে। এতে খুশু-খুযু নষ্ট হয়ে যায়।

কেউ কেউ তো সময় কম থাকার কারণে ইস্তিঞ্জা চেপে রেখেই নামাজে দাঁড়িয়ে যান। এরপর নামাজের মধ্যে মনোযোগ দেয়ার পরিবর্তে ইস্তিঞ্জা চেপে রাখায় মনোযোগ দিতে হয়।

তাই নামাজে খুশু-খুযু বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত সময়ের পূর্বেই উযু-ইস্তিঞ্জা সারতে হবে। ভালোমতো পবিত্রতা অর্জন করতে হবে, যাতে নামাজে কোনো ওয়াসওয়াসা না আসে। সবগুলো সুন্নতসহ উযু করতে হবে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড়ও নামাজে খুশু-খুযু বৃদ্ধি করে। কাপড় ময়লা থাকলে বা নাপাক থাকার আশঙ্কা থাকলে নামাজে মন বসে না। এমনইভাবে কাপড়ে দুর্গন্ধ থাকলেও নামাজে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য ময়লা ও দুর্গন্ধময় কাপড় পরে নামাজ পড়া মাকরুহ বলা হয়েছে। কারণ এতে নিজের নামাজেও সমস্যা হয়, অপরের নামাজেও সমস্যা সৃষ্টি করে।

নামাজের ভুল-ত্রুটি বইয়ে আরও কিছু উপায় উল্লেখ করা হয়েছে। বইটির প্রি-অর্ডার চলছে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ