সফলতার কান্না

একজন কঠোর পরিশ্রমী পেশাজীবী যখন অফিসে ১৪ ঘন্টা কাজ করে দিনের শেষে বাড়ি ফেরে, তখন সে এমন একজন সঙ্গী চায়, যে বলবে, “বাঃ! তুমি অসাধারণ!” অথবা, “তুমি আজকে অনেক কাজ করেছ। নিশ্চয় খুব ক্লান্ত লাগছে। দাও, আমি তোমার পা-গুলো একটু টিপে দিই। তোমার পিঠে মালিশ করে দিই। তোমার জন্য রান্না করে আনি।”


উচ্চ উপার্জনকারী পুরুষদের জন্য অনেক এমন নারীর লাইন লেগে আছে এবং তাদের অনেকেই অল্পবয়সি সুন্দরী যুবতী, যারা এক কথাতেই এই মানসিক অক্সিজেন নিয়ে হাজির হবে। আর পুরুষরা এদের মধ্য থেকেই সঙ্গী বেছে নেয়। তারা নিজেদের সহকর্মীদের সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করে না- এটাই কঠিন সত্য। 

আরেকজন উঁচু পর্যায়ের সিঁড়ি আরোহীর সঙ্গ হয়তো কাজের উদ্দীপনা বাড়িয়ে দিতে পারে, কিন্তু সে কি প্রতিনিয়ত অক্সিজেন সরবরাহ করবে? মনে হয় না। অধিক মাখামাখিতে মান নষ্ট- কথাটা আসলেই সত্যি। একই পরিমাণের খাটুনি খেটে বাড়ি ফেরার পর তারিফের দৃষ্টিতে চেয়ে, বাঃ তুমি অসাধারণ! বলা কঠিন। অসাধারণ কিছু আর চোখে পড়ে না, বরং ত্রুটিগুলো আরও স্পষ্ট হয়। 

তাছাড়া আপনি নিজেই যখন অক্সিজেনের অভাবে কাতরাচ্ছেন, আদর-প্রশ্রয় আশা করছেন, তখন আরেকজনের অক্সিজেন নিয়ে ভাবা যায়?

বই: সফলতার কান্না

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ