প্রেম জেগেছে, পর্দা হটেছে।
(ভালোবাসা) প্রকাশ করাটাই প্রেমের সঠিক পন্থা।
বউয়ের প্রেমে ডুবে থাকার কিছু পন্থা আমি তোমাকে বলবো। তার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্পষ্ট করতে চাই। শোনো, প্রত্যেক স্ত্রীর বিশেষ কিছু চাবি থাকে; যা দিয়ে স্বামী তার হৃদয়ের দুয়ার খুলতে পারে এবং তাতে প্রবেশ করতে পারে। আর সেখান থেকেই ভালোবাসার সুবাস ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
.... আরো শোনো—নারী মন হয় ভিন্ন, বিভিন্ন। কোনো কোনো স্ত্রী উপহার পেলে দুনিয়া ভুলে যায়। কেউ কেউ কামনা করে একটু উষ্ণ স্পর্শ। আর কেউ চায় বৈষয়িক কাজে সাহায্য। একজন মহিলার কথা শুনে তো আমি হাসিই থামাতে পারছিলাম না। তিনি বলেছেন, একান্ত গল্পের সময় স্বামীর প্রতি যতটা প্রেম আমি অনুভব করি; তার চেয়ে বেশি প্রেম অনুভব করি—যখন সে আমাকে রান্নাঘরে সাহায্য করে।
সুতরাং প্রেম বিষয়ে প্রত্যেক মেয়েরই নিজস্ব ভাবনা থাকে। স্বভাবের ভিত্তিতে যা ভিন্ন ভিন্ন হয়। এই স্বভাবটা বোঝার জন্য তোমাকে অনেক কষ্ট করতে হবে। স্ত্রীর সামনে বিভিন্নভাবে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে হবে। কখনও এমন হবে, তুমি তার জন্য অনেক দামি কোন উপহার নিয়ে এসেছো; অথচ সে এখন আন্তরিকতাপূর্ণ কিছু কথা, একটু উষ্ণ স্পর্শের কাঙ্গাল। মাঝে মাঝে তার পছন্দের পোশাক কিনে দিয়ে, ভালোবাসায় সিক্ত লাল গোলাপ ইত্যাদি নিয়েও ভালোবাসার প্রকাশ তুমি করতে পারো।
স্ত্রীর মন জয় করার কিছু কৌশল আছে। যেগুলো অধিকাংশ মহিলারাই পছন্দ করে। তুমি সেগুলো আত্মস্থ করবে। বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করবে। তাহলে সহজেই স্ত্রীর হৃদয় জয় করে সুখী মানুষ হতে পারবে। তন্মধ্যে ২৫ টি কৌশল আমি এখানে উল্লেখ করব—
(১) স্ত্রীর সাথে নম্র ব্যবহার করো এবং বেশিরভাগ সময়ই হাস্যোজ্জ্বল থাকো।
২) তাকে তার কাঙ্খিত মধুর বাক্যগুলো শোনাও। (উদাহরণ স্বরূপ: আমি তোমাকে ভালোবাসি।/ আমি শুধু তোমাকেই চাই।/ অফিসের ব্যস্ততার সময়েও আমার মনটা তোমার কাছে পড়ে থাকে।/ তোমাকে দেখলেই আমার চোখ জুড়িয়ে যায়।)
সর্বদা তাঁর প্রশংসা করো। একজন প্রেমিক স্বামী কত সুন্দর বলেছেন: তোমার প্রতি আমার ভালোবাসার সাক্ষী চারজন এবং তার প্রতিটি কথার সাক্ষী রয়েছে আবার দুজন করে, হৃদয়ের স্পন্দন, অনুভূতির কম্পন, দেহের শীর্ণতা ও জিহ্বার উচ্চারণ।
আরেকজনের প্রেমানুভূতি শোনো,
আমার হৃদয়ে তোমার ভালোবাসা গেঁথে আছে; যেমনিভাবে হাতের তালুতে আঙ্গুল গেঁথে আছে।
তার ব্যাপারে তোমার আত্মমর্যাদা এবং তাকে নিয়ে তোমার শংকা বিষয়ক কবিতা আবৃত্তি করো তার সামনে। দেখো, একজন কবি কীভাবে তার স্ত্রীকে নিজের আত্মসম্মানবোধের কথা বলছেন:
“ কোনো পাহারাদারের দৃষ্টি তোমার উপর পড়ুক, সেটা আমি সহ্য করবো না।
তোমার উপর, তোমার জায়গার উপর, তোমার কোনো জিনিসের উপরেও না!
যদি তোমাকে আমার চোখের মনিতে বসিয়ে রাখতে পারতাম কেয়ামত পর্যন্ত; তবুও আমার মন ভরত না।
৪/ ব্যস্ততার ফাঁকে তাকে ফোন করুন! খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে নয়; বরং শুধুমাত্র একটি কথা বলতে, "আমি তোমাকে ভালোবাসি।"
৫/ দুনিয়াবী যে কোনো ঝুট-ঝামেলা এবং হায়েয- নেফাস চলাকালীন স্ত্রীর মানসিক অবস্থার খেয়াল রাখুন!
৬/ স্ত্রীর জন্য সুন্দর একটা ডাকনাম নির্বাচন করুন। তার পছন্দ হয়, এমন। আপনিই হবেন একক ব্যক্তি—যে তাকে সে নামে ডাকবে।
"মখমলী ভালোবাসা" বইয়ের কিছু অংশ।
( স্ত্রীর মন জয় করার বাকী কৌশলগুলো জানতে হলে বইটি আপনার পড়তে হবে)…
বইটি আপনার সংগ্রহে আছে তো ….??
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....