পুফি | দি আলটিমেট ডিটেকটিভ এজেন্সি | The Ultimate Detective Agency

সিরিজের নামঃ দি আলটিমেট ডিটেকটিভ এজেন্সি 
গল্পের নামঃ পুফি
রাহাত বিন সিদ্দিক
ক্রেডিট : নিস্তব্ধ কথা 

দুপুর বেলা শাহরিয়ার তার দি আলটিমেট ডিটেকটিভ এজেন্সিতে এসে দেখল ওয়েটিং রুমে একজন ২৫-২৬ বছর বয়সী মেয়ে বসে আছে, শাহরিয়ার তখন কিছু না বলে তার অফিসে চলে গেল। তার অফিসে বসার কিছুক্ষন পর সেই মেয়েটি দরজা খুজে ভিতরে প্রবেশ করল, তারসাথে রিসেপশনিস্ট ফারহানাও ছিল। ফারহানা এসে বলল, "স্যার, এ আমার বন্ধু ফাহিমা। সেই সকাল থেকে আপনার জন্য সে বসে আছে। ফাহিমার বলে আপনার সাহায্য লাগবে।"


শাহরিয়ার ফারজানাকে বলল, "ফারজানা, তুমি ওর সমস্যা লিখে রাখতে। আমাদের ডিটেকটিভরা তো ছিল।"

ফাহিমা তখন কাঁদো স্বরে বলল, "স্যার, আমার আপনার সাহায্যই লাগবে৷"

শাহরিয়ারের কাছে এই সব নতুন না। অনেক আগ থেকে সে কথা শুনে আসছে। তাই সে ইশারায় ফারজানাকে যেতে বলে। ফারজানা যাওয়ার পর ফাহিমা শুরু করে, "ছোটবেলায় বাবা মারা যায়। মা আমাদের ৩ ভাইবোনকে অনেক কষ্ট করে বড় করেন। বড় হবার পর আমরা চাকরির জন্য মা থেকে আলাদা হয়ে যাই৷ মাকে আমাদের সাথে এসে থাকতে বলি। মা আমাদের পুরোনো বাড়ি ছেড়ে আসতে চাইতো না। মা সেখানে একা থাকতো। সাথে আমাদের বিশ্বস্ত রানি কাকি। তিনি মায়ের সব বিষয়ে সাহায্য করতেন। রানি কাকির স্বামী রমজান কাকা আমাদের সব সম্পত্তির দেখাশোনা করত। গত ৪ দিন আগে আমার মাকে কেউ হত্যা করে। পুলিশ এইটাকে নিছক স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দিচ্ছে।"

শাহরিয়ার তখন জিজ্ঞেস করে, "আপনার কাছে কেন মনে হচ্ছে একটা হত্যা?"

ফাহিমা তার ব্যাগ থেকে একটা ফাইল বের করে বলে, "ময়নাতদন্তের মতে আমার মা মারা গিয়েছে হার্ট এটাকের কারনে। যেখানে আমার মায়ের কোনো হার্টের সমস্যা ছিল। আমার মা শারীরিকভাবে খুব সুস্থ ছিল। আমার কথা বিশ্বাস না হলে এই মেডিকেল রিপোর্টগুলো দেখুন।" বলে মেয়েটা ফাইল শাহরিয়ারের দিকে এগিয়ে দেয়। 

শাহরিয়ার ফাইলটা পড়ে বলে, "আচ্ছা আমরা দেখব। আপনি আমাদের এই ফর্মে একটা সাইন করে দিন।"

মেয়েটা সাইন করে চলে গেল। শাহরিয়ার ফাইলটা নিজের কাছে রেখে চিন্তা করতে লাগল, "আসলেই কি এইটা স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি হত্যা।"

টুনটুনি এজেন্সির দরজা দিয়ে ভিতরে যেতেই ফারজানা বলল, "কিরে টুনটুনি এতো দিন পর মনে আসল।"
টুনটুনি হাসতে হাসতে বলল, "আরে ফারজানা আপু, ভার্সিটির লাস্ট সেমিস্টারের এক্সাম ছিল। তাই ব্যস্ত ছিলাম। তোমাদের কাউকে ভুলি নি। অই পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ছোটাচ্চু কই?
- " স্যার নিজের অফিসে বসে আছে।"

- "একা?"
- "একাই থাকার কথা। যাও না।"
- "আচ্ছা যাচ্ছি।"
এই বলে টুনটুনি শাহরিয়ারের অফিসের দিকে গেল। অফিসে ডুকে দেখল শাহরিয়ার একান্ত মনে বসে কিছু চিন্তা করছে। টুনটুনি এসে বলল, "ছোটাচ্চু, কি কর? আর ডেকেছিলে কেন?"
টুনটুনির কথার জবাবে শাহরিয়ার কিছু বলল না। ড্রয়ার খুলে কিছু খুজতে লাগল। টুনটুনি আবার বলল, "কি খুজছো?"
এইবার শাহরিয়ার একটা আইডি কার্ড টুনটুনিকে দিয়ে বলল, " এই নে। এইটা সবসময় নিজের সাথে রাখবি।"

টুনটুনি আইডি কার্ডটা নিয়ে বলল, " এইটা কি?"
- "এখন থেকে তুই আমাদের এজেন্সির একজন অফিসিয়াল ডিটেকটিভ। এখন থেকে তুই যা করবি তা আমাদের রেকর্ডে থাকবে।"
- "আরে, এতোদিন কি আনঅফিসিয়াল ছিলাম?"
- "এসব কথা বাদ দে। তোর জন্য কেস আছে।"
বলে শাহরিয়ার একটা ফাইল এগিয়ে দিল। বলল, "ভিক্টিম আনোয়ারা খাতুন। বয়স ৬৭ বছর। ২৭ বছর বয়সে বিধবা হন। দুই ছেলে এবং এক মেয়ে। শারীরিকভাবে অনেক সুস্থ। কোনো রোগের ইতিহাস নাই।গত ২৩ মার্চ নিজের শাহবাগের বাড়িতে হার্ট এটাকে মৃত্যুবরন করেন। ছেলেরা এইটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বললেও তার মেয়ে ফাহিমা বলছে এইটা হত্যা।"

- "বংশগতও হতে পারে।"
- "নেগেটিভ। বংশে সাধারনত হার্ট এটাকের কেস কম।"
টুনটুনি ফাইলটা নিয়ে বলল, "ওকে। সব কিছু এই ফাইলের মধ্যে আছে তাই না? আর কোনো সহযোগী?"
- " হ্যা সব কিছু ফাইলে আছে। আর সহযোগী লাগবে?"
- " হ্যা, এতোদিন তো ওরা নাইলে তুমি আমার সহযোগী ছিলে। "
- " আচ্ছা তুই যা। আমি দেখছি। আর হ্যা বাদিকে রুমটার টেবিল ২ তোর।"

টুনটুনি কিছু না বলে বেরিয়ে গেল। নিজের টেবিলে গিয়ে কেস নিয়ে স্টাডি করতে লাগল। আপাত দৃষ্টিতে এইটা স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে। কেস স্টাডি করতে করতে তার সমবয়সী একটা ছেলে এসে বলল, " হাই, স্যার বলল তোমার নাকি পার্টনার লাগবে।"
টুনটুনি হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়ে বলল, "আমি টুনটুনি।"
ছেলেটা হ্যান্ডশেক করতে করতে বলল, "আমি রাহাত। আপনার নামটা সুন্দর।"
টুনটুনি ফাইলটা রাহাতকে দিয়ে বলল, "আপনার কি মত?"
রাহাত ফাইল নিয়ে বলল, "ফাহিমা খাতুনের কেসটা। এইটা আমার মনে হচ্ছে হত্যা।"
- "কেন?"
- "তা জানি না। ৬ষ্ঠ ইন্দ্রিয়। তবে তা ঠিক কিনা সেটা গিয়ে দেখে বলতে হবে।"
- " আচ্ছা ঠিক আছে চলুন।"

বলে রাহাত আর টুনটুনি বের হয়ে গেল। ২ ঘন্টার জ্যামের রাস্তা পেরিয়ে তারা পৌছালো আনোয়ারা খাতুনের বাড়িতে। বাড়িতে ডুকতেই একজন মধ্যবয়স্ক লোক তাদের বাধা দিল। বলল, "আন্নে কন? কিল্লাই আইসেন? আমাগো খালাম্মা কারো কাছে কিছু লয় নাই, তাইলে কিল্লাই আইসেন?"
রাহাত তার আইডি কার্ড বের করে বলল, " আমরা দি আলটিমেট ডিটেকটিভ এজেন্সি থেকে আসছি। আনোয়ারা খাতুনের মৃত্যুর ব্যাপারে কথা বলতে।"
- "ও মা। আন্নেরা পুলিশ নি? খাড়ান আমি ফাহিমা আম্মারে ডাকি আনি।"
বলে লোকটা ভিতরে চলে গেল। কিছুক্ষন পর ফাহিমা বাহিরে এসে বলল, "আপনাদের কি শাহরিয়ার সাহেব পাঠিয়েছেন।"
টুনটুনি বলল, "হ্যা। আর আপনি আমাদের কাছে কেস করেছিলেন।"
- " জি হ্যা। ভিতরে আসুন।"
টুনটুনি আর রাহাত ভিতরে গিয়ে দেখল  ভিতরটা আগের আমলের মতো করে সাজানো। খুব পরিপাটি। রাহাত ফাহিমাকে জিজ্ঞেস করল, "আপনার মার সাথে যারা থাকত তাদের যদি একবার ডাকতেন।"
ফাহিমা সেই মধ্যবয়স্ক লোকটার দিকে ইঙ্গিত করে বলল, " ইনি রমজান কাকা। ইনি আর উনার স্ত্রী মায়ের সাথে থাকত।"
রাহাত রমজান কাকাকে জিজ্ঞেস করল, " আনোয়ারা খাতুনের দৈনিক রুটিন কি ছিল?"
তখন টুনটুনি রাহাতকে বলল, "তুমি এই দিক সামলাও আমি একটু বাড়িটা ঘুরে দেখি।"
বলে টুনটুনি চলে গেল।
রাহাত রমজান কাকাকে বলল, "আপনি বলেন।"
- "খালাম্মা প্রতিদিন ফজরের সময় উঠতো, নামায পড়ত, কোরআন শরীফ পড়ত তারপর নিচে আইত। বাগান পুফিরে লই একটু হাটাহাটি করত। ফুলে পানি দিত তারপর রান্নাঘরে যাই সকালের নাস্তা বানাইত। পুফিরে খাইতে দিত। নাস্তা করনের পর খালাম্মা বাগানের চেয়ারে বসি বই পড়ত, সাথে পুফি উনার কোলে শুয়ে থাকত। আর এমন সময় আমার বিবি রানি আইত, ও ঘরের সব কাম কাজ করত। মাঝে মাঝে খালাম্মা চাইলে খালাম্মারে চা নাস্তা দিত। দুপুরের নামা্য পড়ে খাবার খাইত, তারপর ঔষধ খাই খালাম্মা কিছুক্ষন ঘুমাইত। বিকাল বেলা নামায পড়া হইলে অই আশেপাশের বাচ্চারা আসত। খালাম্মার কাছে পড়ত, গল্প করত, পুফিরে লই খেলত। অই পড়া শেষ হইতে হইতে সন্ধ্যা। তার পর মাগরিবের নামায পড়ে উনি কিছুক্ষন টিভি দেখত, নাইলে পোলা মাইয়া নাতি নাতনি লগে মোবাইল ফোনে কথা কইত। রাতের ১০টা নাগাদ খাবার খাই, নামায পড়ে ঘুমাই যাইত। খালাম্মার রাত জাগাত অভ্যাস ছিল না।"
- "এই পুফিটা কে?" 
- "খালাম্মার বিলাই। আমরা বিলাই কইলে খালাম্মা রাগ করত। তাই নাম ধইরা ডাকি।"
- "ও কই?"
- "না জানি।"
- "জানি না মানে?"
- "বিলাইটা মাঝে মাঝে পালাই যাইত। ২/৩ দিন পর নিজেই আসত।"
- " খালাম্মা কিছু করেন নাই এইটা নিয়ে। বিড়ালটা কই?"
- "কে জানে? খালাম্মা মরনের পর বিলাইটারে আর পাই নাই।"
- "আচ্ছা ওনার ঔষধগুলা দেখতে পারব?”
- " আচ্ছা খাড়ান আমি নিয়া আছি।"
বলে রমজান কাকা চলে গেল।

 টুনটুনি এসে রাহাতকে জিজ্ঞেস করল,  "কিছু জানতে পারলে?"
- "তেমন বিশেষ কিছু না। তুমি?"
- "না। তবে ঘরের কয়েক জায়গায় বিড়ালের আচড়ের দাগ দেখতে পাইছি। উনি শখ করে বলে বিড়াল পালতেন।"
- "ও, ওইটা পুফি। আনোয়ারা খাতুনের বিড়াল।"
- "রমজান মিয়া কই?"
- "উনি আনোয়ারা খাতুনের ট্যাবলেটের বাটি আনতে গেসেন।" 
- "গেসেন কি চলে এসেছেন। ওই যে।"
- "অনেক দিন বাঁচবে উনি।"
রমজান কাকা রাহাতকে ট্যাবলেট রাখার বাক্সটা দিল। রাহাত সেখানে গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট আর ভিটামিনের ট্যাবলেট ছাড়া আর কিছু পেলেন না। রাহাত টুনটুনিকে বলল, " যা মনে করেছিলাম তা হয় নি। চল আমরা ফিরে যাই। বাকি কাজ সেখানে হবে।"
যাওয়ার আগে টুনটুনি কি মনে করে ফাহিমার কাছ থেকে আনোয়ারা খাতুনের মোবাইলটা চেয়ে নিল। 

এজেন্সির অফিসে আসত আসতে সন্ধ্যা ৭ টা। টুনটুনি তাদের অফিসে যেতে যেতে রাহাতকে বলল, " দুইটা বিষয় আমার মাথা থেকে যাচ্ছে না। "
- "কি?"
- "এতো হাসিখুশি থাকার পরেও হঠাৎ হার্ট এটাকের মৃত্যু হওয়ার কথা না। তার উপর উনি একটা হসপিটালের হেড নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন ১০ বছর। আর যদি হত্যা হয়েও থাকে তাইলে সেটার মোটিভ কি?"
- "হার্ট এটাকের কারন স্লো পয়জন। কেউ ওনাকে খাওয়াত। কিন্তু আমি সেটা খুজে পাইনি। 
- "তুমি কেমনে জান?"
- "আমি মেডিকেলের ছাত্র। সে কথা বাদ দাও। আর আমার প্রশ্ন হলো, ওনার বিড়াল নিয়ে।"
- "কেন?"
- "রমজান কাকার মতে ওনার বিড়াল মাঝে মাঝে হারিয়ে যেত। আর তিনি প্রথম দুইবার অনেক প্যানিক করলেও এর পর আর করেন নি। এইটা হওয়ার কথা না। কারন বিড়াল তার মালিকের কাছে অনেক প্রিয়। তাইলে কি হয়েছিল? ”

এমন সময়, টুনটুনির ছোটাচ্চু মানে শাহরিয়ার বলল, " এখন অনেক  অ্যাপ আছে যেটা দিয়ে তুই তোর পোষা বিড়াল বা কুকুর বা অন্য কোনো প্রানীকে ট্র‍্যাক করতে পারবি। মূলত ওদের কলারে ক্যামেরা বা ট্র‍্যাকার লাগানো থাকে।"
টুনটুনি কিছু চিন্তা করে বলল, "ছোটাচ্চু তোমাকে যতটা বোকা ভাবতয়াম ততটা তুমি না।"
শাহরিয়ার কিছুটা কপট রাগ দেখিয়ে বলল, "তবে রে।"

টুনটুনি কোনো কথা না বলে দৌড় দিল। টুনটুনি আর তার পিছন পিছন রাহাত আর ছোটাচ্চু তাড়াতাড়ি টেবিলে গিয়ে পকেট থেকে আনোয়ারা খাতুনের মোবাইলটা বের করল। অন করতে গিয়ে দেখে মোবাইল বন্ধ। মোবাইল চার্জে দিয়ে অন করে ভিতরে যেতেই সেখানে একটা অ্যাপ খুজে পেল নাম, ফাইন্ড ইউর পেট। সেখানে ক্লিক করতেই লাইভ ভিডিও অন হল,
সেখানে দেখল, এক মধ্যবয়স্কা নারী একটা যুবক ছেলেকে রেগে রেগে বলছে, "আর পারি না। খালাম্মা গেছে। রাখি গেছে, তার মাইয়ারে। সে নাকি গোয়েন্দা নাকি ফোয়েন্দা আছে নিয়ে আসছে। তারা আসি পুরা ঘর খুজি গেসে।"
যুবক ছেলেটা হাসতে হাসতে বলল, " আরে যেই আসুক। কিচ্ছু পাবে না। আর এর কোনো প্রমান তো রাখি নাই আমরা। একটা ছিল অইটাও তুলি নিয়া আসছি। এখন আজকে এরে গুম করে দিব। ঝামেলা শেষ।"
সেই মূহুর্তে রমজান কাকা সেখানে এসে বলল, "বিবি খাওন দাও। বড্ড খুধা লাগসে। আর অই অকর্মার ঢেঁকি যা তো বাহিরে ছুরিটা আছে লই আয়। যারা সারাজীবন করল খেদমত তাদের বাদ দিয়ে অই রাস্তার পোলাগুলারে ঘরে তুলা। উচিত শিক্ষা হইসে।"
সেই নারী আর যুবক ছেলেটা মাথা নাডতে নাড়তে চলে গেল সেখান থেকে। 

সেই ভিডিও ফুটেজ দেখার পর শাহরিয়ার ফোন করল ফাহিমাকে আর রাহাত ফোন করল পুলিশকে। রাতের ৯ টা বাজে গিয়ে সবাইকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় পুফি তখন টুনটুনির কোলে। শান্ত হয়ে বসে আছে। রাহাত পুফির গলা থেকে ওর কলারটা নিল। মাথায় আদর করতে করতে বলল, "নিজের অজান্তে নিজের মালিকের ন্যায়বিচার করল। আমাদের হিরো।"
তখন শাহরিয়ার টুনটুনিকে বলল, "টুনি তুই বাসায় চলে যা। এখানে আমি আর রাহাত থাকব।"
টুনটুনি মন খাবাপ করে বলল, "বাসায় কেউ নাই। সবাই তো বাহিরে।একা একা কি করব। এর থেকে বরং...
শাহরিয়ার টুনটুনিকে থামিয়ে দিয়ে বলল, " তুই বাসায় যাহ। তোর জন্য সারপ্রাইজ আছে।

মম খারাপ করে টুনটুনি পুফিকে বাসায় চলে আসল। সেখান থেকে বাড়ি এসে ঘরে ডুকতেই ওর দাদী (কিংবা নানী) বসার রুম থেকে বলল, "ওরে টুনি দেখ কে এসেছে।"
ঝুমুখালাও বলে উঠল, "টুনি দেইখা যাও। কে আসছে।"
সে বসার ঘরে যেতেই একটা ছেলে বলে উঠল, "আজকেও খালি হাতে? খাবার কই?"
টুনি রীতিমতো চিৎকার করে বলল, "শান্তওওওওওও?"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ