বর্তমানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘চোখ ওঠা’ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। চোখ ওঠা একটি স্পর্শকাতর রোগ।
🔲হাদীসের দোয়া ও রুকিয়া:
আরবি: َاللّهمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِيْ اللَّهمَّ عَافِنِيْ فِي سَمْعِيْ اللَّهمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لَا إلهَ إلَّا أنْت
🔘উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাসারি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নাই।
🔘যে বাচ্চারা দুয়াটি পড়তে পারেনা তাদের হয়ে অন্য কেউ দুয়াটি পড়ে চোখে ফুঁকে দিবেন। সাথে সূরাতুশ শিফা সুরা ফাতিহা পড়ে নিজের হাত পরিস্কার করে নিয়ে ফুঁ দিয়ে আলতো ভাবে চোখের উপর বুলিয়ে নিবেন সকাল ও সন্ধ্যায়।
▫️এক চামচ কালোজিরা মুখে চিবিয়ে খেয়ে ১ চামচ মধু আধা কাপ কুসুম গরম পানিতে মিলিয়ে সকাল সন্ধ্যা খাবেন।
🔘চিকিৎসা
সাধারণ চোখ ওঠা এক থেকে তিন সপ্তাহে সেরে যায়। চোখ উঠলে যা করবেন—
* ঠান্ডা বা সর্দির মতো উপসর্গ থাকলে কেবল অ্যান্টিহিস্টামিন সেবনই যথেষ্ট।
* অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ডোজ মেনে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া চোখে ওষুধ ব্যবহার না করাই উত্তম।
🔲সতর্কতা:
* চোখে পিঁচুটি জমলে হালকা নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে বা পানির ঝাপটা দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা যেতে পারে। তবে কোনোমতেই চোখ রগড়ানো যাবে না।
* কালো চশমা রোদে বা আলোতে কিছুটা স্বস্তিদায়ক হয়। তাই বাইরে বেরোলে কালো চশমা পরুন।
* চোখে কোনোমতেই হাত দেওয়া যাবে না।
* একজনের ব্যবহার করা রুমাল, গামছা, বালিশ, তোয়ালে বা কাপড়চোপড় অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না।
* হাত সব সময় সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।
* জনসমাগম, অনুষ্ঠান, ক্লাস ইত্যাদি পরিহার করে চলাই ভালো। চোখ ওঠা নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত না হওয়াই ভালো। তবে পরীক্ষা থাকলে ওপরের নিয়মগুলো যথাযথভাবে মেনে স্কুলে যাওয়া যাবে।
* বার বার পানির ঝাপটা দেয়া চোখ ধোয়া যাবেনা। কোনো হাতুরে চিকিৎসা করাবেন না।
* ছোট বাচ্চাদের জন্ম পরবর্তীকালে চোখ ওঠা একটি নিয়মিত সংক্রমণ। শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শে চিকিৎসা নিবেন।
* এক চোখ উঠলে শোয়ার সময় সেই কাতেই শোবেন।
🔸চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস নামের সমস্যার সঙ্গে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত। এটি একটি ভাইরাসজনিত সমস্যা। কোনো কোনো সময় বা মৌসুমে একসঙ্গে অনেক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন। কারণ, এটি সংক্রামক রোগ। নিশ্চয় সেটিও আল্লাহর নির্দেশের বাহিরে নয়।
🔘চোখের যত্নে গাফলতির পরিনতি ভয়াবহ হয়! সুতরাং খুব সাবধান। অবহেলা করবেন না। তবে ঘাবড়ানোরও কারণ নেই। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন। অন্যদেরকেও বিষয়গুলি জানিয়ে সচেতন করুন।
পরামর্শ : জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।
Abdul Hi Muhammad Saifullah
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....