ইসলামোফোবিয়া, ইন দ্য ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড | Islamophobia, in the Western World


মুসলমানদের একটা মৌলিক প্রশ্ন, মুসলমানরা কী চরমপন্থী? চরমপন্থী হলে কেন তাদের এ চরমপন্থা? এটা ধর্মতাত্ত্বিক কারণে না মনস্তাত্ত্বিক কারণে? মুসলমানদের এ বিষয়ে গবেষণার জন্য পাশ্চাত্যে তৈরি হয়েছে অনেক গবেষণাকেন্দ্র। বিভিন্ন গবেষকের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, বিভিন্ন বক্তব্য। কারও কাছে তা মনস্তাত্ত্বিক, কারও কাছে তা ধর্মতাত্ত্বিক, কারও কাছে তা উভয়টির সমন্বয়। কিন্তু কেউ মুসলমানদের সহিংসতার ক্ষেত্রে নিজেদের দোষকে মূল দেখছে না। ইসলামকেই দোষী সাব্যস্ত করছে। 

এ গ্রন্থের লেখক সেসব গবেষকদের মতামতকে যথাযথভাবে খণ্ডন করেছেন এবং সাব্যস্ত করেছেন যে, মুসলমানদের সহিংসতা অবলম্বনের কারণ আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি। প্রমাণ হিসেবে তিনি মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী খ্যাত আনোয়ার আওলাকির ঘটনা উল্লেখ করেছেন সবিস্তারে। এ পররাষ্ট্রনীতি মুসলমানদের ক্ষুব্ধ মনোভাব জাগিয়ে তুলছে। যার ফলশ্রুতিস্বরূপ তারা কখনো সহিংসতায় জড়াচ্ছে।


পশ্চিমা বিশ্ব নিজেদের এ দোষ না দেখে সমস্ত দোষ অন্যের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে, আর টার্গেট করছে ইসলামকে। ইসলাম নিয়ে তাদের এ তৎপরতার কারণ কী আগেই বলেছি। তারা পাশ্চাত্যের আদর্শিক শত্রু। বাস্তবিকপক্ষে নাইন ইলেভেন পরবর্তী বিশ্বে মুসলমানরা পশ্চিমা দেশসমূহে কী পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে, কীভাবে জীবন অতিবাহিত করছে—এ বই তার জ্বলন্ত সাক্ষী।

বই : ইসলামোফোবিয়া, ইন দ্য ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ