- 🍂উপন্যাসের নাম - সেদিন চৈত্রমাস
- ✍️ লেখক - কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়
- 🖨️প্রকাশিত - শারদীয়া দেশ ১৪২৯
🍁“ প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস— তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ ! এ সংসারের নিত্য খেলায় প্রতিদিনের প্রাণের মেলায় বাটে ঘাটে হাজার লোকের হাস্য - পরিহাস মাঝখানে তার তোমার চোখে আমার সর্বনাশ !.. ”🍁
🍂উপন্যাসের শুরুতেই স্নেহার সাথে আমাদের পরিচয় হয় , এবং স্নেহা পার্লারে কাজ করে ।পার্লারের কাজের জন্য স্নেহা শান্তিনিকেতনে আসে। একটা ব্রাইডাল মেক আপ যার যাওয়ার কথা ছিল সে শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসায় স্নেহাকে যেতে হয়। কিন্তু যাকে মেকাপ করাবে সেই হৈমন্তীর স্নেহাকে পছন্দ না হওয়ায় সে নিজের মতো আরেক জন মেকাপ আর্টিস্টকে ডেকে আনে! স্নেহার দায়িত্ব এসে পরে প্রি ওয়েডিং শুটের, আগে বরের একটু মেকাপ করার। কিন্তু সেখানেই ঘটে অঘটন!!
অন্য দিকে আমরা দেখতে পাই হৈমন্তীর সঙ্গে মিতদ্রুর পরিচয় ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে। পরিবার ও নিজেদের মধ্যে খানিক অমিল থাকলেও সম্পর্ক গড়িয়েছে প্রেম ও বিয়ের স্টেশন পর্যন্ত!!
করোনা মহামারী কিছু ঘটনা বছর দুই আগে বিদেশ থেকে ফিরে ১৪ দিনের জন্য নিউ টাউনের একটা অ্যাপার্টমেন্টে কোয়ারেন্টাইন থাকতে হয়েছিলো মিতদ্রুকে। সেখানেই তার পরিচয় হয়েছিলো স্নেহার সঙ্গে। যদিও পরিচয় বলতে কোনাকুনি দুটো ফ্ল্যাটের ওপাশে ঝাপসা ছবি!!
শিলিগুড়ি থেকে এসে কলকাতায় একটা পার্লারে কাজ করত স্নেহা, লকডাউন হওয়াতে আটকে পড়েছিল অ্যাপার্টমেন্টে। কেয়ারটেকার দেশের বাড়ি যাওয়ার আগে ফোনের মাধ্যমের দুজনের যোগাযোগের ব্যবস্থা করে গেছিল। আলাপ হয় ফোনেই, হোয়াটসঅ্যাপে। এর পর তাদের মধ্যে সম্পর্ক কতোটা গভীর হয়?? একটা সময় শিথিল হয় লকডাউন, স্নেহা ফিরে যায় শিলিগুড়ি, মিতদ্রু নিজের ব্যস্ত জীবনে! এর পর কি মিতদ্রু আর স্নেহা সম্পর্ক এগিয়ে ছিল?? গড়ে উঠেছিল কি প্রেমের সম্পর্ক জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে!! এই উপন্যাস এর মধ্য যেটা সব থেকে ভালো লেগেছে সেটা শান্তিনিকেতনের আবহাওয়া তার সাথে প্রেম, ভালোবাসা, ভরসা, পবিত্রতা,অভিমান সব ই সমান ভাবে চলতে থাকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে আমার বেশ ভালো লেগেছে!!
উপন্যাস এ রয়েছে দুটি নারীচরিত্র মিতদ্রু শেষ পর্যন্ত কার কাছে ফিরবে সেটা জানতে উপন্যাস টি পড়বে হবে!!🍁 - Shrabani Paul
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....