১৯৩১ সাল! আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন নিয়ে সিরিয়ার হিমস শহর থেকে বেরিয়ে পড়েন মুসতফা আস-সিবাঈ নামের এক যুবক।
আল আজহারে পড়তে এসে মুসতফা আস সিবাঈ পরিচিত হন ইমাম হাসান আল বান্নার সাথে। পরিচয় থেকে ইমাম বান্নার সাথে ঘনিষ্ঠতা তৈরী হয় মুসতফা আস-সিবাঈর। সেই ঘনিষ্ঠতা থেকে প্রথমে ইমামের প্রতি মুগ্ধতা তৈরী হয়, তারপর ইখওয়ানুল মুসলিমিনের সদস্য হন মুসতফা আস-সিবাঈ।
ইসলামি আন্দোলনে মুসতফা আস-সিবাঈ ছিলেন অগ্রগামীদের মধ্যে অন্যতম। মিশরে অবস্থানকালীন তিনি উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হন। সেই অপরাধে তাঁকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। তারপর মুসতফা আস-সিবাঈকে মিশর থেকে বহিস্কার করে সিরিয়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সিরিয়ায় পৌঁছে মুসতফা আস-সিবাঈ সিরিয়ার ইখওয়ানুল মুসলিমিনের শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর তিনি সিরিয়া ইখওয়ানুল মুসলিমিনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শুধু ইখওয়ানুল মুসলিমিনেরই প্রধান ছিলেন না, তিনি দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি ফিকহ ও আইন অনুষদের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
শাইখ মুসতফা আস-সিবাঈ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাঁর অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য এমন একটি সিরাত রচনা করতে চাইলেন, যে সিরাত পাঠ করলে একই সাথে তারা ব্যক্তিগত জীবনেও উপকৃত হবে এবং দাওয়াতের ময়দানেও ভূমিকা রাখতে পারবে। আমরা সেই সিরাতটাই প্রকাশ করতে যাচ্ছি।
ড. মুসতফা আস-সিবাঈ রচিত সিরাতটির আমরা নামকরণ করেছি, 'সিরাতুর রাসূল সা.: শিক্ষা ও উপদেশ'। এই সিরাতের বিশেষত্ব হলো, আল্লাহর রাসূলের জীবন থেকে আমরা কোন কোন শিক্ষাটা গ্রহণ করব, তা প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে আলাদা করে উল্লেখ করা হয়েছে।
আশা করছি, এই সিরাতটি পাঠ করে যেমন সাধারণ পাঠকরা উপকৃত হবে, তেমনি দ্বীনের দ্বায়িরাও উপকৃত হবে। আর সেই শিক্ষা তাঁরা দাওয়াতি কাজে প্রয়োগ করতে পারবে। ইনশাআল্লাহ।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....