- নাম : দ্য গিফট
- লেখক : সালমা সিদ্দিকা
- জনরা : সাইফাই থ্রিলার
- প্রথম প্রকাশ : জুন, ২০২২ (বইঘর সংস্করণ)
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৮
- বইঘর মূল্য : ২০/- (ই-বুক)
ভবিষ্যতের পৃথিবী কেমন হবে জানি না আমরা। কিন্তু কখনোই কি কিছু কল্পনা করিনি?
সময়টা এমন এক পৃথিবীর যেখানে একসময়ে রাজত্ব করা মানুষেরা আজ দাস! ভিনগ্রহী প্রাণী ইয়াজিলদের হাতে বন্দী। বছরের পর বছর ধরে করা যুদ্ধ-সংগ্রাম কিছুই পারে নাই মানবসমাজকে মুক্ত করতে। আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যাওয়া এক জাদুকর আলরিখ। ইয়াজিলদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেঁচে আছে সাথে জোগার করে চলেছে বিভিন্ন সরঞ্জাম। বন্দী জীবনে একটুকরো বিনোদন। এমনই একদিন রাতের আঁধারে পায় কুকুর আকৃতির এক প্রাণী। কিন্তু বহুবছর আগেই তো কুকুর প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে ইয়াজিলদের হাতে! ছোট কুকুরছানা ❝রিকি❞- কে কেবিনের নিচে গোপন বেজমেন্টে লুকিয়ে রাখে আলরিখ। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ভয়ানক পরিবর্তন দেখা যায় রিকির মধ্যে! সাধারণ কোনো কুকুর নয় রিকি, তাহলে কী? এইদিকে অসুস্থ হতে থাকে আলরিখ। কখনোই কি স্বাধীন হতে পারবে না মানবজাতি?
দারুণ একটা প্লট কিন্তু পূর্ণতা পায়নি পর্যাপ্ত বর্ণনা আর লেখনশৈলীর জন্য এমন কোনো বইয়ের কথা বললে নিঃসন্দেহে ❝দ্য গিফট❞- এর কথা মাথায় আসতে বাধ্য আমার। গতানুগতিক ধারার সাইফাই থেকে অনেকটাই আলাদা। ধ্বংসপ্রাপ্ত পৃথিবী যদিও বহু সাইফাইয়ে দেখা যায় কিন্তু উদ্ধারকর্তা নিয়েই আসলে ইউনিক কনসেপ্ট। আবার দেখা যায় তরুণ প্রজন্ম বা একদল যোদ্ধা যুদ্ধ করেছে কিন্তু এখানে দেখা যাবে মাত্র দুটি চরিত্র তাও প্রৌঢ়।
বড়ো একটা প্লটকে অনেক ছোট পরিধির মধ্যে আঁটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আর এখানেই বইয়ের আসল মজা নষ্ট হয়েছে। বর্ণনা এতোই কম যে শুধু যে অনেক বিষয় অস্পষ্ট থেকে গেছে এমন নয় বরং বাদও পড়ে গেছে। এমন কিছু পয়েন্টের কথা বলি-
বিশবছরেরও অধিক সময়ে মানুষ একটাও ইয়াজিলকে মারতে পারে নাই। কিন্তু এত সহজেই আলরিখ একের পর এক ইয়াজিল কিডন্যাপ করছে আবার ধরাও পড়ছে না! ইয়াজিলরা মানুষ থেকে কম বুদ্ধিমান কিন্তু হিংস্র, ধরে নেওয়া যায় মারা কঠিন তাই বলে অসম্ভব হওয়ার কথা না পরবর্তীতে যতো সহজে দেখানো হয়েছে।
যেখানে মানবসমাজেই পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ হয় না আবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয় আর একজন জাদুকর এমন এক দ্রবণ বানিয়ে ফেললো যে একচন্দ্রমাস একটা দেহ জীবিত থাকে! আবার বিজ্ঞান-গবেষনা রিলেটেড অধিকাংশ বই-ই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। দ্রাবণের কাঁচামালই বা পেলো কীভাবে? এসব নিয়ে কিছুই বলা হয়নি।
প্রত্যেক মানুষের হিসাব কীভাবে রাখা হয় বলা হয়নি। তাই বুঝাও যায়নি কার্যক্ষমতা হারানোর পরও কীভাবে আলরিখের খোঁজ পায়নি ইয়াজিলরা। বিষয়টা খোলসাও করা হয়নি।
আলরিখ আর মিনোনের অভিযান নিয়ে আরও বলার জায়গা ছিল। কিন্তু এত কাটছাট হয়েছে যেন চোখের পলকেই শেষ।
সমাপ্তি অনুমেয় কিন্তু আলোচনা অনেক কম। যেন পাঠকের কল্পনার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
টুকিটাকি কিছু বানান ভুল আছে। আর ছোটোবড়ো ফ্রন্ট সাইজ। আশা করি বইঘর এই বিষয়ে আরও যত্নবান হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....