সত্য হলো, এমন কিছু বিষয় আছে, যা আপনার সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার না করাটাই ভালো। ক্ষতিকারক সত্য এবং সমালোচনা যত কম হবে, আপনাদের ঘনিষ্ঠতা তত ভালো এবং দাম্পত্য জীবন আরও বেশি সুস্থ, সুন্দর থাকবে। মুটিয়ে যাওয়া বা বাজে হেয়ারকাট করানো বান্ধবীর সাথে আপনি যে আচরণটা করতেন, ঠিক সেটাই—বিনয় ও বিচক্ষণতার ব্যবহার।
কৌশলী না হওয়াটার পক্ষে অজুহাত দিতে গিয়ে নারীদের প্রায়ই বলতে শুনি, “কিন্তু আমি তো সত্যি কথাই বলেছি! সে আসলেই খুব বাজে স্টকে বিনিয়োগ করেছে! সে আসলেই পার্টিতে দাঁত খুঁচিয়েছে!”
সত্য হলো, স্বামীকে সত্য বলাটা সবসময় ভালো নয়। নিজের কথা সঠিক হলে কার না ভালো লাগে? “আগেই বলেছিলাম” বলতে পারার অনুভূতিটা যে কত তৃপ্তিকর, তা অনস্বীকার্য। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে এই তৃপ্তির জন্য যে চড়া মূল্য দিতে হয়, এর ফলে আমার ও আমার সঙ্গীর মাঝে দূরত্বই বাড়ে। যদি রাত জেগে তর্ক না করে বরং বিছানায় হাসাহাসি-খুনসুটি করতে চান, তাহলে এ ধরনের সত্য বলা বন্ধ করুন। আপনি একজন অপরিচিত মানুষের সঙ্গে যেমন তর্ক করে নিজেকে সঠিক প্রমাণ করার জন্য জিততে চাইবেন না, ঠিক সেই কৌশল আপনার স্বামীর সঙ্গে ব্যবহার করুন।
আজকাল আমি আর জনের কাছে তার অনুভবের কথা জানতে চাই না। বিষয়টা তারও পছন্দ না, আমিও যে উত্তর পাওয়ার আশায় জিজ্ঞেস করতাম সেরকম পেতাম না। এখন বরং আমি নিজের অনুভূতিকে তার কাছে প্রকাশ করতে বেশি সময় নিই। সেটাতেই মনোযোগ দিই। যেহেতু এই সম্পর্কের নারীটি আমিই, তাই আমাকেই আমার অনুভূতি প্রকাশ করতে হবে। জনকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম যদি কেউই আর কখনোই তার অনুভূতি জানতে না চায়, তাহলে তার কেমন লাগবে।
....বাজি ধরে বলতে পারি আপনি উত্তরটা ধরে ফেলেছেন।
'স্যারেন্ডার্ড ওয়াইফ' বইয়ের অংশ বিশেষ
(আসন্ন ইসলামি বইমেলায় প্রকাশিতব্য...)
লেখিকা : লরা ডয়েল
সিয়ান | বিশুদ্ধ জ্ঞান | বিশ্বমান
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....