- বইঃ দ্য ইমাগো সিকোয়েন্স
- মূলঃ লেয়ার্ড ব্যারন
- অনুবাদঃ লুৎফুল কায়সার
- প্রকাশনায়ঃ বেনজিন প্রকাশন
- ধরণঃ লাভক্র্যাফটিয়ান হরর
- সম্পাদনা ও প্রুফরিডঃ নিঝুম
- প্রচ্ছদঃ লুৎফুল কায়সার (Midjourney Ai এর সহায়তায়)
- প্রচ্ছদ সম্পাদনাঃ সজল চৌধুরী
- পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৬০ (ক্রাউন সাইজ)
- মূল্যঃ ২৫০/-'
এই জগৎ আজ সকালেই ধ্বংস হয়ে গেছে যখন আপনি ঘুমাচ্ছিলেন, আপনার মায়ের শরীরে আপনার বাবার বীর্য প্রবেশের হাজার বছর আগেই ঘটেছে এই জগতের সমাপ্তি, এই জগতের সবকিছুর শেষ হবে কাল ... প্রতিদিন আমাদের জগৎ ধ্বংস হয়, প্রতিটি ঘণ্টায়, প্রতিটি মিনিটে, প্রতিটি মুহূর্তে। আমরা বুঝতে পারি না, কারণ তা বোঝার ক্ষমতা আমাদের দেওয়া হয়নি!'
বন্ধু জ্যাকব উইলসনের বড়দিনের পার্টিতে গিয়ে অদ্ভুত একটা ছবি দেখলো মারভিন কর্টেজ। ছবিটি তুলেছিলেন একজন রহস্যময় ফটোগ্রাফার। কী অর্থ এই ছবিটা? কোথা থেকে তোলা হয়েছিল ওটা?
যাদের কাছেই ওটা থাকে তাদের সাথে কেন অশুভ সব দুর্ঘটনা ঘটে? আমাদের এই পরিচিত জগৎ কি আসলেই তেমন যেমন আমরা ভাবি? প্রকৃতির কোনো গোপন রহস্য কি লুকিয়ে আছে তিনটি ছবির সিরিজ 'ইমাগো সিকোয়েন্স'র ভেতরে? জ্যাকবের চাচা থিওডোর উইলসনের কি আসলেই মৃত্যু হয়েছে? রহস্যময় অ্যানসেলম থনটনকোথায় থাকে? কী চায় সে?
জ্যাকবের অনুরোধে টেডির হারিয়ে যাওয়ার রহস্য উদ্ঘাটনে নেমে পড়লো মারভিন। কিন্তু ওই অদ্ভুত ছবিটা দেখার পর থেকেই ওর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে লাগলো অদ্ভুত সব দুঃস্বপ্ন! ইমাগো সিকোয়েন্সের রহস্য আসলে কী? জানতে পড়ুন লাভক্র্যাফটিয়ান হররের পূজারী লেয়ার্ড ব্যারনের লেখা 'দ্য ইমাগো সিকোয়েন্স'।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
প্রথমত বইটি হাতে পাওয়ার পরে যে-ধরনের এক্সপেকটেশন রেখেছিলাম, বইটা সম্পর্কে। বইটি পড়ার পরে আমার এখন মনে হচ্ছে, আমার ফ্রাস্ট এক্সপেকটেশন এর তুলনায় বইটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেক অনেক বেশি রোমাঞ্চকর।
আমাদের অনেকেরই বড় একটা ভুল ধারণা, হরর মানেই ভূত-প্রেত কিংবা রাক্ষস-ডাইনীবুড়ির গল্প। কিন্তু আসলে এমনটা না।
হরর বলতে বুঝায় ভীতিকর কিছু। ভূতের বিবরণ পড়েই আপনার ভয় পেতে হবে এমনটাও নয়। ঠিক লাভক্র্যাফটিয়ান এই হররে কোন ভূত-প্রেতের উপস্থিতিই নেই তবুও গল্পটা কেমন করে যেন ভয়ের।
বইয়ের গল্পটি কিন্ত সত্যিই খুব আকর্ষণীয়। দারুণসব হরর এলিমেন্ট এবং রহস্য রয়েছে বইটিতে। বইটিতে লেখক তার সংলাপ ও চরিত্রগুলোকে বেশ দুর্দান্ত ভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন।
ছোট সাইজের এই বইটি কিন্ত বেশ দ্রুত গতিতেই এগিয়েছে। গল্পে ঢুকে পড়বেন তো দ্রুত পৃষ্ঠা উল্টাবেন। সুন্দর এবং গোছানো ছিল। প্লট, কাহিনির বুনন বেশ পরিপক্ব লেগেছে। লেখকের বাচনভঙ্গি ও লেখার ধরণ ছিল সাবলীল। বইয়ের গল্পটি অনেক ভালো ছিল, বেশ বিস্তৃত ও দাপুটে একটা প্লট। বইটিতে একইসাথে রয়েছে রহস্য, রোমাঞ্চ ও ভয়ের দারুণ কম্বিনেশন।
অনুবাদকের জায়গায় যদি লুৎফুল কায়সার ভাইয়ের নাম থাকে তাহলে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই অনুবাদ কেমন হবে। উনার অনুবাদ সমসময়ই প্রশংসনীয়। একদম জোস ও পরিপক্ব অনুবাদ ছিলো। বেশ সাবলীল এবং ঝরঝরে।
বেনজিনের বইয়ের প্রডাকশন নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই, ওরা আমাকে মুগ্ধ করে বারবারই। এবারও বইয়ের পৃষ্টার মান, প্রচ্ছদ, ডাস্ট কভার, কালার কম্বিনেশন, ফন্ট সবকিছুই টপনচ, এককথায় অসাধারণ। প্রকাশনীর এমন কাজ সত্যিই প্রসংশার দাবীদার।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....