একটি তিন মাসের গল্প - নাটক রিভিউ

নিদ্রাভঙ্গের পরে নিজেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় বিছানায় আবিস্কার করে ভীষণ ভড়কে যায় আফরান নিশো। না কেউ কিডন্যাপ করেনি, পরিবারের লোকজন তার হাত-পা বেঁধে রেখেছে কারণ সে বিয়ে করতে চায়না। পরিবারের মতে এই হাত-পা বেঁধে রাখা একধরনের থেরাপি – অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ থেরাপি। 




এদিকে ফারিয়ার পরিবার থেকেও ফারিয়াকে বিয়ের চাপ দিয়ে যাচ্ছে সমান তালে, কিন্তু ফারিয়া বিয়ের ব্যাপারে অসম্মতি প্রকাশ করায় ফারিয়ার মা কখনও কথা বলা বন্ধ করে দেয়, কখনও খাওয়া, তাই দেখে নিরূপায় হয়ে ফারিয়া বিয়ে করতে সম্মতি জানায়।

অবশেষে মনে মনে সন্ন্যাস ব্রত পালন করা নিশোও বিয়ে করতে রাজি হবার পরে নিশোর পরিবার ফারিয়াদের বাসায় আসে ফারিয়াকে দেখতে। 

ফারিয়া ও নিশোকে আলাদা ভাবে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়। তারা একটি কক্ষে গিয়ে বসে দুজন। 

হঠাৎ ফারিয়া একটা চাকু হাতে নিয়ে নিশোর গলায় ধরে হুমকি দেয় যে এই বিয়ে করতে যেন সে রাজি না হয়।

নিশোও জানায় সে-ও আসলে বিয়ে করতে আগ্রহী নয়।

ফারিয়া নিশোর কাছে হেল্প চায় যে নিশো যেন সবার কাছে বলে তার ফারিয়াকে পছন্দ হয়েছে এবং সে তিনমাস পরে ফারিয়াকে বিয়ে করবে। 

কারণ জানতে চাইলে ফারিয়া বলে– আসলে সে ফারহান নামে এক ছেলের সাথে রিলেশনে আছে, ফারহান তিন মাসের সময় চেয়েছে, তিনমাস পরেই ফারহান ফারিয়াকে বিয়ে করবে। 

সবকিছু শুনে নিশো ফারিয়াকে হেল্প করতে সম্মতি জানায়।

তারপর দিন যায়, সবাই জানে তিনমাস পরে ফারিয়াকে নিশো বিয়ে করবে। কিন্তু ফারিয়া নিশো দুজনেই জানে তিনমাস পরে ফারিয়া ফারহানের বিয়ে। 

মাঝেমধ্যে ফারিয়া এবং নিশো ঘুরতে বেরহয়, নিশোর সন্ন্যাসী মনোভাব এবং লুঙ্গী পাঞ্জাবি পরে চলাফেরা করা পরিবর্তন করতে চায় ফারিয়া, এভাবে দুজনার ভালো বন্ধুত্ব হয়।

একদিন ফারিয়া নিশোকে ফারহানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। ফারিয়া একটু দূরে যাবার পরে ফারহানের ফোনে একটি মেয়ের কল আসে, মেয়েটিকে ফারহান বেবি বলায় নিশোর মনে খটকা লাগে। 

এক বিকেলে নিশো ফারিয়াকে বলে ফারহানকে তার সুবিধার মনে হয়নি। নিশোর মুখে এই কথা শুনে ফারিয়া হেসে ফেলে বলে, জেলাসি তাইনা? ফারহানকে সহ্য হচ্ছেনা তোমার তাই তো? মানে আমার মতো একটা মেয়েকে পেয়েও বিয়ে করতে পারছো না সেই কারণে। 

তিনমাস হবার ঠিক দুদিন আগে দেখা করে ফারিয়া ফারহানের সাথে। বিয়ের কথা বলতেই ফারহান কেমন এই বিষয়ে অনিহা প্রকাশ করে, সে বলে বিয়ে করা সম্ভব না তার পক্ষে। প্রেম করলেই বিয়ে করতে হবে নাকি!

ফারিয়া রেগে গিয়ে বলে– তাহলে প্রেম কি মানুষ রুম ডেটের জন্য করে?! 

ফারহান বলে– ধরো তাই, রুম ডেটের জন্য করে। 

আরও কথা-কাটাকাটির পরে ফারহান চলে যায়, ফারিয়া বুঝতে পারে ফারহানের মনে ভিন্ন কিছু চলছে...

এর পরেই গল্প ভিন্ন দিকে মোড় নেয়।

পরের গল্প জানতে হলে দেখে নিন "একটি তিন মাসের গল্প" এই অসাধারণ নাটকটি।

এই নাটকে Sabnam Faria আপুর প্রানবন্ত অভিনয় দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছি যে সেই থেকে তার মস্তবড়ো ফ্যান আমি। 

আশাকরি নাটকটি সবার ভালো লাগবে।

ধন্যবাদ। 
আবীর হোসেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ