প্রশ্ন উঠতে পারে, ‘আল্লাহ তাআলা আমার কল্যাণ চাচ্ছেন, এটা কিভাবে বুঝবো?’
আপনার কী মনে হয়? সম্পদের প্রাচুর্য আর পার্থিব সুখ-স্বচ্ছন্দ ও নিরাপদ জীবন উপভোগ করে এই কল্যাণের প্রত্যাশা করা যায়?
না কখনোই নয়। পার্থিব নির্বিঘ্ন সুখ-স্বচ্ছন্দ জীবনযাপন রবের সন্তুষ্টি ও আশুকল্যাণের নিদর্শন নয় কিছুতেই। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
‘মানুষ এমন যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মান দান করেছেন। আর যখন তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর রিজিক সংকুচিত করে দেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে হেয় করেছেন।’ [সুরা ফাজরঃ ১৫-১৬]
কথা হচ্ছে, আল্লাহ আপনার কল্যাণ চান এটা কীভাবে বুঝবেন? এর নিশ্চয়ই কোনো মাপকাঠি আছে? চলুন এ ব্যাপারে হাদিসে কী আছে দেখে নিই। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ দুনিয়ার ভোগবিলাস যাকে ভালোবাসেন, যাকে ভালোবাসেন না প্রত্যেককেই দান করেন। তবে ঈমান শুধুমাত্র তাঁর প্রিয়জনদেরই দান করেন।
[মুসনাদে আহমাদঃ ৩৬৭২]
হ্যাঁ, ঈমান-ই সবকিছুর নির্ণায়ক। সুতরাং আপনি যখন উপলব্ধি করবেন যে, বালা-মুসিবত আপনাকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দিয়েছে বুঝে নেবেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আপনার কল্যাণ চান।
আল্লাহ তাআলা যদি আপনাকে তাঁর প্রতি সুধারণা পোষণের তাওফিক দেন, তাকদিরের ওপর আপত্তি করা থেকে রক্ষা করেন; বুঝে নেবেন তিনি আপনার কল্যাণ চান।
বই: আল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক: ড. ইয়াদ কুনাইবী
পৃষ্ঠা: ২২৯
মুদ্রিত মূল্য: ৩০০ টাকা
প্রকাশনা: শব্দতরু
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....