রাত নয়টা বাজে। ড্রয়িং রুমে সোফায় বসে উপন্যাস পড়ছে নিহির। সৌহার্দ্যর দেয়া প্রথম উপহার।যদিও এর আগে বই টই খুব একটা পড়া হয়নি তার। কিন্তু ভালোবাসার মানুষ ভালোবাসে উপহার দিয়েছে।সে কিরে পারে বইটি না পড়ে থাকতে। সৌহার্দ্য বেশ বই প্রেমি একটা ঘর ভর্তি কেবল উপন্যাস আর কবিতার বইয়ে ঠাসা। সেই ঘরে সে ছাড়া আর কারো প্রবেশের অনুমতি দেয় না । সে চায়না তার এই রুমে কেউ আসুক।নিহিরের বাড়ির চারদিকে পুলিশ ঘিরে আছে পালানোর কোন পথ রাখে নি তারা। যাতে পালিয়ে যাবার কোন সুযোগ না পায়। সৌহার্দ্য প্রথমে যাবে ভিতরে তারপর কিছুক্ষণ কথা বলবে। তারপর ইশারা দিলেই ওসি রফিকুল তার পুলিশ দের নিয়ে গ্রেফতার করতে যাবে।
ফোনের আওয়াজে ধ্যান ভাঙে নিহিরের । সৌহার্দ্য ফোন দিয়েছে নিহির বেশ খুশি হয়।হয়ত সে তার ভুল বুঝাবুঝি অবসান করতে চায়। রিসিভ করতেই বলল,
-দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছি ।
-তুমি দাঁড়াও আমি এক্ষুনি এসে দরজা খুলে দিচ্ছি।
কথাটা বলেই নিহির ফোন রেখে দরজার সামনে গিয়ে দরজা খুলে দিল। সৌহার্দ্য ভিতরে ডুকে সোফায় গিয়ে বসল।বলল,
-কি করছিলে?
-তোমার দেয়া বইটা পড়ছিলাম। বাসায় একা আছি সময় কাটছিল না।
ওসি রফিকুল ইসলাম বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। এক পুলিশ কর্মকর্তা এসে বলল,
-স্যার মেহরাফ স্যার ভিতরে গিয়েছে আধ ঘন্টার বেশি সময় হলো।অথচ কোন সাড়া শব্দ নেই ভিতরে গিয়ে দেখা উচিত।
-আরে না।জানোই তো ওই মেয়েটি নিহির স্যারের প্রেমিকা স্যার উনাকে বেশ ভালোবাসেন। শেষ বারের মত কথা বলতে চাইছেন। উনি কথা শেষ হলে ইশারা দিবেন।
-ভিতরে থেকে কোন শব্দ আসছে না।একবার গিয়ে দেখা উচিত।
-উনি রাগ করতে পারেন কথা না শুনলে।আর দশ মিনিট অপেক্ষা করি তারপর ভিতরে চলে যাব।
বই: শহরতলীতে নরখাদক (থ্রিলার উপন্যাস)
লেখিকা: জান্নাতুন নাঈম ইরা
প্রকাশনী: কপোতাক্ষ প্রকাশন
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....