হ্যাঁ, তীর চিহ্নিত জায়গাটায় আপনি ব্যবসা করেন! - আরিফ আজাদ

কটকটে হলুদ রঙের যে বি-শা-ল গোলাকার বস্তুটা আপনি দেখতে পাচ্ছেন সেটা হলো সূর্য যা প্রতিদিন আপনার বাড়ির পূর্বে ওঠে আর পশ্চিমে অস্ত চলে যায়। তার নিচে তীর চিহ্নিত যে গোলাকার বস্তুটা আছে, সেটা হলো পৃথিবী যেখানে আমি, আপনি— আমরা সকলে বাস করছি।


শুধুমাত্র ছবির রেজুলেশানেই আপনি সম্ভবত আঁচ করতে পারছেন যে— বিশাল আকৃতির সূর্যের তুলনায় আমাদের পৃথিবী কতো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র। তবু জানিয়ে রাখা ভালো— সূর্যের আকৃতি এতো বি-শা-ল যে— ১ মিলিয়ন পৃথিবী এর মধ্যে অনায়াসে ঢুকিয়ে রাখা যাবে!

আপনি নিশ্চয় মাথা চুলকে ভাবতে চেষ্টা করছেন কতো বিশাল আকৃতি এই সূর্যের, তাই না? একটু থামুন! আপনি জেনে বিস্মিত হবেন— মহাবিশ্বে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় নক্ষত্র হলো UY SCUTI যেটা ব্যাসার্ধের দিক থেকে আমাদের সূর্যের চেয়ে ১৭০০ গুণ বড়। মানে— সেই UY SCUTI এর মধ্যে ৫ বিলিয়ন (মিলিয়ন নয় কিন্তু) সূর্য অনায়াসে ঢুকে পড়তে পারবে!

মহাবিশ্বের যে ক্ষুদ্রতম অংশ আমরা জানতে পেরেছি তার খুব সংক্ষিপ্ত অংশের আলোচনা এটা৷ এর বাইরে পড়ে আছে কতো বিস্তৃত রহস্য, কতো অনুদঘাটিত ব্যাপারাদি তা মানবমস্তিষ্ক কল্পনাও করতে পারে না। এ বিশাল মহাবিশ্বের বিস্তৃতির সীমার দিকে চেয়ে এ দাবি করা একেবারেই অত্যুক্তি হবে না যে— UY SCUTI, যেটা ধারণ করতে পারবে ৫ বিলিয়ন সূর্যকে, মহাবিশ্বের অন্য অনেক জায়ান্ট নক্ষত্রের কাছে সেটা সমুদ্রের স্রেফ একটা বালির সমান!

এই যে এতো রহস্যময় মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা এবং নিয়ন্ত্রক যিনি, আপনি কেবলমাত্র তাঁর-ই ইবাদাত করেন। কী চমৎকার, কী অভাবনীয় ব্যাপারটা, তাই না? আরো বিস্ময়ের ব্যাপার কী জানেন? তিনি এই গোটা সৃষ্টিলোক সৃষ্টিই করেছেন কেবলমাত্র আপনার জন্যে। তারচেয়েও দারুন ব্যাপার হলো— সেই মহা প্রতাপশালী সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সম্বোধন করেন ‘আমার বান্দা’ বলে।

ভাবুন তো— সৃষ্টিরাজির মধ্যে কী সুমহান মর্যাদা তিনি আপনাকে দান করেছেন! সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ