ফেসবুকের উচ্চবংশের নিম্নশ্রেণীর কির্বোড সন্ত্রাসী জনাব আবূ হাযমকে আপনারা চিনেন। নিজের চরমপন্থি মানহাজ, আদবহীনতা ও উগ্রতার কারণে দেশের আহলে হাদীস সমাজের কাছে ব্যাপকভাবে সমালোচিত ও নিন্দিত হয়েছে। তবে তার যেসব সমস্যার ব্যাপারে এখনো কাউকে বলতে দেখিনি সেটা হচ্ছে, সে ইদানিং তার ফেসবুক পেজটাকে কাজে লাগায় স্রেফ তার সাথে যাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব আছে তাদের বিরুদ্ধে আক্রোশ ও বিদ্বেষ উগড়ে দিতে, এবং সে এটা করে তাদেরকে খোঁচা মেরে নানান কথাবার্তা বলার মাধ্যমে। অন্যদিকে একই বিষয়েই সে শাইখ আবূ বকর যাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)-এর সমালোচনা করে না। অথচ তার মতে শাইখ বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও মানহাজের ইলমধারী ব্যক্তি। তাহলে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করার ক্ষেত্রে শাইখেরই কি প্রধান ভূমিকা পালন করা উচিত না? সে হয়তো বলবে সে ব্যক্তিগতভাবে শাইখকে এসব বিষয়ে নাসীহাত করেন, সেক্ষেত্রে কথা হচ্ছে, শাইখ কি তার নাসীহাত গ্রহণ করছেন? শাইখকে আমরা একাধিকবার একাধিক সময়ে কতিপয় এমন কাজ করতে দেখেছি, যেসবের কারণে আবূ হাযম অন্যদের উগ্র সমালোচনা করে, কিন্তু শাইখের ক্ষেত্রে সে তা করেনি। তাহলে কি এই প্রতিবারই আবূ হাযম শাইখকে ব্যক্তিগত ভাবে নাসীহাত করে গেছে এবং সবসময় তার ব্যাপারে ধৈর্যশীলতা বজায় রেখে আসছে? সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হলো, অন্য সবার ক্ষেত্রে কি সে এই নীতি অবলম্বন করে? উত্তর হচ্ছে, না। বোঝা যায় যে যাকারিয়া স্যারের অপছন্দনীয় কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আবূ হাযম তাকে বিভিন্ন ওজর দেয়, অথচ তাকে এই কাজ অন্যদের ক্ষেত্রে করতে দেখা যায় না, বরং সে অনেক সময় তাদের অন্তরের গোপন অবস্থার ব্যাপারে কুধারণা করে তাদের ব্যাপারে মিথ্যা অপবাদ দেয়। এটাও হতে পারে যে, সে মনে করে এসব বিষয়ে কথা বলা শাইখের জন্য ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে জরুরিই না। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে যে, কোন দলীলের আলোকে তা শাইখের জন্য জরুরি না এবং সে যাদের পেছনে লাগে তাদের জন্য জরুরি, এবং স্যারও কি ওই দলীল থেকে একই বিষয় বোঝেন কিনা, নাকি সে নিজে নিজে গবেষণা করে এই বুঝ আবিষ্কার করেছে এবং এটা শুধু তারই বুঝ? আমরা নীচে তার একটা আর্টিকেলের ওপর কিছু মন্তব্য করবো এবং এর মাধ্যমে তার সমালোচনার অসৎনীতি' যার ব্যাপারে আমরা ওপরে উল্লেখ করলাম, তা তুলে ধরবো। আমাদের মন্তব্যগুলো দেখে কেউ কোনোভাবেই ভাববেন না আমরা জাকারিয়া স্যারকে অসম্মান করতে চাচ্ছি বা বলতে চাচ্ছি স্যারের সাথে আবূ হাযমের বেয়াদবি করা উচিত। বরং আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আবূ হাযমের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখানো।
.
আবূ হাযম সাহেব লিখেছে:
"যখন সালাফিয়্যাহ ও শুদ্ধ আক্বীদাহ, মানহাজের দাঈকে গাল দিতে মন চাইবে, তখন আল্লাহ্ দুনিয়াতে অপমানের ব্যবস্থা করে দেবেন এভাবে যে ইবতিসাম ইলাহী যাহিরের মত ইখোয়ানি জামাতে ইসলামীর প্রতি প্রেমে মত্ত লোককে আল্লামাহ বলে সম্বোধন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। কারাদাওয়ীর জন্য কেঁদে কেটে পোস্টগুলো যখন দেওয়া হবে, আল্লাহই বরং এদের অপমান করছেন।"
আমাদের মন্তব্য: জি, আবার অন্য ভাবেও আল্লাহ শুদ্ধ আক্বীদাহ মানহাজের দাঈদের আখতারু, শ্রমিক নেতা, শ্রমিকদের শিক্ষক বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা ব্যক্তিকে মানুষের কাছে অপমানিত করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
.
"আমার ধারণা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তাদের কেউ কেউ ইবতিসামকে সম্ভবত ঠিক মত চেনেনও না।"
.
আমাদের মন্তব্য: আপনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার পূর্বে অন্তত যাকারিয়া স্যারকে চিনিয়ে দিতে পারতেন ইবতিসাম ইলাহী যাহির কে, আর তাকে পরামর্শ দিতে পারতেন যেন তিনি আয়োজকদের উপদেশ দেন ইবতিসাম সাহেবকে দিয়ে বক্তব্য না দেয়াতে।
.
"একদল এ বিষয়ে কিছু বলবে না, কারণ তারা উর্দু ভাষার পূজা করে। আরেকদল কিছু বলবে না, কারণ তারাও ইবতিসামের মানহাজেই আছে। তার হিযবেই আছে।হাজার হোক, ইবিতিসাম ইলাহীও তো জাম'ইয়্যাহ করে।"
.
আমাদের মন্তব্য: আমরা জানি যাকারিয়া স্যার স্বয়ং এই কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়েছেন। তাহলে এই কনফারেন্সে ঘটে যাওয়া মন্দ বিষয়াদির বিরুদ্ধে কি তারই আগে বলা উচিত ছিল না? এছাড়া আপনি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, মানুষের কাছে তো এদের অতটা গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা নেই যতটা স্যারের আছে। সেক্ষেত্রে স্যার এই বিষয়ে মুখ খুললে নিঃসন্দেহে এর সুফল হতো অনেক বেশি। নাকি আপনার মতে এই বিষয়ে স্যারের কোনো দায়িত্ব নেই, শুধু দায়িত্ব আছে যাদের সাথে আপনার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব আছে তাদের? যদি বলেন যে আপনি শাইখকে ব্যক্তিগতভাবে নাসীহাত করেছেন এই বিষয়ে, তাহলে আপনি বলার পরেও স্যার কেন মুখ খুললেন না? আর তাকে নাসীহাত করার পরেও যে তিনি মুখ মুখলেন না, তবুও আপনি কেন তার ব্যাপারে এখনো চুপ? নাকি আপনি দুনিয়ার সব ওজর শুধু স্যারের ভুলের জন্য বরাদ্দ করেছেন আর আপনার সাথে যাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব তাদের জন্য বরাদ্দ করেছেন 'তাদের নিয়ত ও অন্তরের গোপন অবস্থার ব্যাপারে কুধারণা ভিত্তিক মিথ্যা অপবাদ'?
.
"সৌদিতে থাকা জাসুসীকে হালাল ফতোয়া (আউযুবিল্লাহ!) দেওয়া হুজুরটিও আজকে কিন্তু একদম স্পিকটি নট। ইবতিসাম যে কথায় কথায় জামাতের প্রশংসা করেন এসব বিষয়ে কোন ওপেন ওয়ার্নিং দেওয়া যাবেই না। দিলে সাপোর্টের কি হবে?"
.
আমাদের মন্তব্য: আবারো আপনার সাথে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব আছে এমন কেউ কিছু বললো না কেন এই আলাপ শুরু করেছেন। যেই যাকারিয়া স্যার কনফারেন্সে স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন তার চেয়ে মতিউর রহমান মাদানীর এই ইস্যুতে কথা বলার দায়িত্ব কি বেশি? আবার তার ব্যাপারে কুধারণা করলেন যে, তিনি সাপোর্টের জন্য মুখ খোলেননি। তো যাকারিয়া স্যার কোন কারণে মুখ খুললেন না? যদি ধরে নিই যে আপনি অন্যদের এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে সমালোচনা করলেও স্যারকে অন্তন্ত গোপনে নাসীহাত করেছেন, সেক্ষেত্রে তো তার মুখ না খোলার ব্যাপারটা আরো ভয়ানক হওয়া উচিত আপনার কাছে। নাকি আপনি তাকে নানা ওজর দিয়েছেন বা তার কাছে তার ওজর শুনেছেন কারণ সে আপনাকে সাপোর্ট দেয়, কিন্তু উস্তায মতিউর রহমান সাহেবের সাথে আপনার ব্যক্তিগত দ্বন্ধ থাকায় আন্দাজে তার বিরুদ্ধে এত বড়ো একটা অভিযোগ আনলেন? ভাবনার বিষয় হচ্ছে, মতিউর রহমান মাদানী লোকজনের সাপোর্ট পেতে মুখ খোলেননি নাকি আপনি যাকারিয়া স্যারের সাপোর্ট পেতে তার বিরুদ্ধে কোনো ইস্যুতে এভাবে সমালোচনা করেন না ও তার নিয়ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন না?
.
"অবশ্য তিনি কারাদাওয়ীর প্রশংসায় গদগদ হওয়া জাম'ইয়্যাহ এর বড় বড় নেতার কাউকেই ভর্তসনা করেননি। দেওবান্দী হুজুরের মৃত্যুতে কেঁদে কেটে থাওব ভিজিয়ে ফেলা বেরাদারদের ওপেনলি কিসসু বলেননি। অথচ এখানে ওপেন আলোচনা করার দরকার ছিলো। উনাদের ওপেন সাবধান করা দরকার ছিলো।"
.
আমাদের মন্তব্য: শুধু কারাদাওয়ীর প্রশংসায় গদগদ হওয়া জাম'ইয়্যাহ এর বড় বড় নেতা ও দেওবান্দী হুজুরের মৃত্যুতে কেঁদে কেটে থাওব ভিজিয়ে ফেলা বেরাদারদের ওপেনলি কিছু বলতে হবে? নাকি দেওবন্দীদের দুই আকাবির মাওলানা আহমাদ শফী ও মাওলানা বাবুনগরী সাহেব মারা যাওয়ার পর যাকারিয়া স্যার তাদের যেই ভাষায় প্রশংসা করলেন তার কারণেও মতিউর রহমান মাদানীর উচিত ছিল যাকারিয়া স্যারকে প্রকাশ্যে নিন্দা করা? আচ্ছা উনি নাহয় পারলেন না, কিন্তু আপনি এই কাজ করলেন না কেন? নাকি গোপনে নাসীহাত হবে শুধু যাকারিয়া স্যারের বেলায়? আচ্ছা, যদি আপনি গোপনে নাসীহাতই করে থাকেন, কয়বার করেছিলেন? একবার না দুইবার? যদি একবার করে থাকেন, তাহলে সেটা মাওলানা আহমাদ শফীর ক্ষেত্রে না মাওলানা বাবুনগরীর ক্ষেত্রে? যদি আহমাদ শফীর ক্ষেত্রে হয়, সেক্ষেত্রে স্যার তো আপনার নাসীহাত শোনেননি, কারণ তিনি বাবুনগরী সাহেব মারা যাওয়ার পরে একই কাজ করেছেন। সেক্ষেত্রে আপনি স্যারের বিরুদ্ধে বললেন না কেন? আপনি তো অলরেডি তাকে বুঝিয়েই দিয়েছিলেন যে কাজটা ঠিক না, তাইনা? তাহলে তো উনি পরের বার বুঝেশুনে সালাফী মানহাজ বিরোধী কাজ করলেন। আপনি দুইবারই নাসীহাত করে থাকলেও এই কথাগুলো প্রযোজ্য। আর যদি একবার নাসীহাত করে থাকেন এবং সেটা হয় বাবুনগরী সাহেব মারা যাওয়ার পর, তাহলে প্রথমবার কেন নাসীহাত করলেন না?
.
"উনি জাম'ইয়্যাতের বেশ কিছু বড় নেতাদের ইখোয়ানপ্রীতি নিয়ে কখনো কিছু বলেননা। অবশ্য যে ব্যক্তি সালাফিদের পিছে লাগে, তার কাছ থেকে আমরা সালাফিরা খুব বেশী আশা করিও না।"
.
আমাদের মন্তব্য: যাকারিয়া স্যারও তো বলেন না। আর যাকারিয়া স্যারের না বলা নিয়েও আপনি কিছু বলেন না। আর আপনার মতে যাকারিয়া স্যারের দুই কাছের বন্ধু ডক্টর সাইফুল্লাহ এবং ডক্টর মানজুরে ইলাহী ইখওয়ানী। সেক্ষেত্রে আপনি কেন স্যারকে সমালোচনা করছেন না তাদের সাথে সম্পর্ক রাখার কারণে? নাকি তাকে গোপনে নাসীহাত করেছেন? সেক্ষেত্রে আপনার নাসীহাত উনি মোটেই শুনছেন না। তো আপনি তবুও স্যারের বিরুদ্ধে অবস্থা নিচ্ছেন না কেন? আর উস্তায মতিউর রহমান কর্তৃক আপনার নিজের বিরুদ্ধে বলাটাকে সালাফীদের বিরুদ্ধে বলা বানিয়ে দিলেন, এর কারণ কী? উস্তায মতিউর রহমান মাদানী নিজেই তো সালাফী, বহুলোক তার কাছে সালাফী আক্বীদাহক, মানহাজ শিখেছে, এবং তিনি সালাফী উলামা ও তুল্লাবুল ইলমদের প্রশংসা করেন। ব্যাপারটা তো এমন না যে আবূ হাযম মানেই সালাফিয়্যাহ, সালাফিয়্যাহ মানেই আবূ হাযম, তাই আপনার বিরুদ্ধে বললেই আপনি বলতে পারবেন সালাফীদের বিরুদ্ধে বলেছে। এছাড়া আপনি বললেন, আমরা সালাফীরা তার কাছ থেকে খুব বেশি আশা করি না। অথচ সালাফীরা তার কাছে অনেক কিছুই আশা করে। আপনি ও আপনার গুটি কয়েক অনুসারীরা করে না। আপনার আন্ডারে থাকা ছোট এই বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী কোনোদিনই সালাফীদের রিপ্রেজেন্ট করে না, তাই আপনার এই কথা একদমই সঠিক না। নাকি আপনি আপনার আন্ডারে থাকা ছোট এই গোষ্ঠী বাদে সবাইকে সালাফিয়্যাহ থেকে খারিজ করে দিয়েছেন? সেক্ষেত্রে আপনি একজন কট্টর হাদ্দাদী ছাড়া কিছুই না।
.
“দেখি সালাফি ভাইদের সামনে এক কথা আর জনপ্রিয়তার লোভে বাহিরে আরেক কথা বলা কম বয়সী মাদ্রাসার হুজুরকে চাপে ফেলে বারা'আতের পোস্ট দেওয়ানো যায় কিনা।”
.
আমাদের মন্তব্য: দেখি প্রাইভেট চ্যাটে যাকারিয়া স্যারকে "ইখওয়ানী ছিলেন, কিছু ব্যাগেজ রয়ে গিয়েছে", “নতুন লোক দরকার” বলা আর বাইরে বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও মানহাজধারী দাঈ হিসেবে তুলে ধরা আবূ হাযম শাইখ যাকারিয়াকে নাসীহাত করে বারা'আতের পোস্ট দেয়াতে পারে কিনা আর না পারলে তার বিরুদ্ধেও জনপ্রিয়তার লোভ থাকার অভিযোগ আনে কিনা। আর দুই রকম কথা বলার অভিযোগ আপনি বারবার এনেছেন। এই বিষয়ে কিছু স্পষ্টকরণ দরকার। আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন যে, আপনি যার দিকে ইঙ্গিত করছেন সে প্রাইভেটে এক কথা বলে কিন্তু পাবলিকলি এমন কথা বলে যেটা প্রাইভেটে বলা কথার বিপরীতমুখী (যেমন প্রাইভেটে বললো অমুক বিদ'আতী কিন্তু পাবলিকলি বললো সে সালাফী), নাকি সে প্রাইভেটে যেসব কথা বলে পাবলিকলি সেসবের সব বলে না? যদি প্রথমটা হয়, সেক্ষেত্রে আপনি যাদের বিরুদ্ধে দুই রকম কথা বলার অভিযোগ আনছেন, পরবর্তীতে দু মুখো বলেছেন, তারা কি আসলেই দু মুখো? আপনি কসম করে এই দাবি করতে পারবেন? এটা বলছি কারণ, আপনি এই ইদানিং অন্যদের অন্তরের গোপন অবস্থা সম্পর্কে কুধারণামূলক মিথ্যা কথা বলছেন এবং এই পোস্টেও একজনের বিরোধিতা করতে গিয়ে তার কথার অসৎ উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া আরেকজনের বিরুদ্ধে সরকারকে তাকফীর করার অভিযোগ এনেছেন যদিও সে নিজেই তাকফীর করার কথা অস্বীকার করেছে। যাইহোক, দুই রকম কথা বলার অভিযোগ দ্বারা যদি আপনি আমাদের উল্লিখিত দ্বিতীয় বিষয়টি উদ্দেশ্য করেন, সেক্ষেত্রে যাকারিয়া স্যারের ব্যাপারে ওসব বলার কারণে, এছাড়াও প্রাইভেটে একাধিক আহলে হাদীস দাঈদের বিরুদ্ধে আশ'আরী আক্বীদাহ খাওয়ানোর অভিযোগ আনা, ডক্টর সাইফুল্লাহ, ডক্টর মানজুরকে বিদ'আতী বলা, কিন্তু পাবলিকলি এসব তখন না বলার কারণে আপনাকেও কি দু মুখো বলা যায় না? আর প্রাইভেটে দেয়া সব মত পাবলিকলিও যে কারো জন্য, যে কোনো পরিস্থিতিতে দেয়া ফরজ এমন একটা ফতোয়া নিয়ে আসুন তো পারলে উলামাদের থেকে!
.
“ইবতিসাম ইলাহী যে কত বড় ইখোয়ানি দেখার জন্য ইউটিউবে গুগলে তার কার্যকলাপ সার্চ করাই যথেষ্ট।
এই লোককে যারা আল্লামাহ বলে প্রচার করে সেই মূর্খদের কাছে গালমন্দ পাওয়া আসল সালাফিদের সালাফিয়্যাত মাত্র প্রতিষ্ঠা করে আলহামদুলিল্লাহ।”
.
আমাদের মন্তব্য: যারা এই লোককে দিয়ে বক্তব্য দেয়ালো আর তাকে আল্লামাহ ডেকে পরিচয় করিয়ে দিলো, তারা তো যাকারিয়া স্যারকে গালমন্দ করছে না, বরং তাদের সব কনফারেন্সে দাওয়াত দিচ্ছে। তাহলে তিনি কি আপনার মতো হক কথা বলে গালমন্দ খেয়ে আসল সালাফী হতে পারেননি এখনো?
.
“আবার কেউ তাকফিরি, কেউ খাওয়ারিজের আক্বীদাহ মানহাজ পোষণ করা লোকের সম্পর্কে সালাফি ভাইদের কাছে এক কথা বলবে আর মানুষের সামনে তাদের সাথে নিজেদের পার্থক্য শুধু ধর্মীয় মাস'আলাহর বলে তাদের সালাফিই আখ্যা দেবে আর আসল সালাফিদের সাথে তাদের আদর্শগত পার্থক্য আছে বলে মাজহাবের পার্থক্য দেখিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে দেবে।”
.
আমাদের মন্তব্য: এখানে সম্ভবত আপনি আব্দুল্লাহ মৃধার পোস্ট ও আব্দুল্লাহ মাহমুদ ভাইয়ের মানহাজ নিয়ে বলছেন। যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে, মানহাজের মাসআলা কি ধর্মীয় মাসআলার বাইরে যে খুরুজ, তাকফিরের মাসআলা ধর্মীয় মাসআলার অন্তর্ভুক্ত করে বলা যাবে না? আর আপনি যদি মাহমুদ ভাইকে এখানে সালাফী বলার বিরোধিতা করে তাকে বিদআতী সাব্যস্ত করে থাকেন, সেক্ষেত্রে যাকারিয়া স্যার কি আপনার সাথে একমত? যদিও আপনার এই পোস্টে এই ব্যাপারে কিছু বলেননি, তবুও জিজ্ঞেস করছি, আপনি যে উস্তায আব্দুল্লাহ শাহেদকে মুশাব্বিহ, মুয়াত্তিল, কালামী বলে তাবদি করলেন, এটার সাথে কি যাকারিয়া স্যার একমত? এছাড়াও আপনি নাম উল্লেখ না করে যাদেরকে হিজবী, ইখওয়ানী ইত্যাদি ট্যাগ দেন, এসবের সাথে কি যাকারিয়া স্যার একমত? বিদআতী বলা ও সমালোচনার ক্ষেত্রে আপনাকে দেখা যায় আপনি দেশের সালাফী শাইখদের থেকে বেশ কঠোর। এই ক্ষেত্রে আপনার মানহাজে হাদ্দাদিয়্যাত আছে। আর যাদের হাদ্দাদিয়্যাত নেই তাদের সবার সাথেই আপনার আদর্শগত পার্থক্য আছে, কারণ এটা মানহাজের ব্যাপার। আর আব্দুল্লাহ আপনার সাথে আদর্শগত পার্থক্য থাকার কথা উল্লেখ করার পর কি সরাসরি মাযহাবের পার্থক্য থাকার কথা উল্লেখ করেছে যেমনটা আপনার কথায় বোঝা যাচ্ছে? বরং সে শুরুই করেছে উস্তায ফাইযীকে সে সালাফী মনে করে, আশ'আরী আক্বীদাহধারী মনে করে না এটা বলে, যেই উস্তায ফাইযীর বিরুদ্ধে আপনি আশআরী আক্বীদাহ খাওয়ানোর অভিযোগ এনেছিলেন। তারপর সে বলেছে সে জমিয়ত, আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় কোনো দাঈকে বিদ'আতী বলে না, আব্দুল্লাহ মাহমুদ ভাইকেও বিদ'আতী বলে না। অর্থাৎ সে আদর্শগত পার্থক্যের কথা বলার পর বিদ'আতী বলার ক্ষেত্রে আপনার সাথে তার মতপার্থক্য তুলে ধরেছে। অথচ আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে সে আদর্শগত পার্থক্য আছে বলে বলেছে আবূ হাযম যাহিরী কিন্তু আমি যাহিরী না। মাযহাবের পার্থক্যের কথা বলার আগে সে বলেছে, "এগুলো ছাড়াও আরও অনেক বিষয়ে আবূ হাযমের সাথে আমার মতপার্থক্য আছে। আবূ হাযম ভাইয়ের ফিকহি চিন্তাধারা একরকম, আমার চিন্তাধারা আরেক রকম।" দেখুন, এখানে সে ফিকহি মাযহাবের পার্থক্যের কথা বলার আগে "এগুলো ছাড়াও আরও অনেক বিষয়ে..." বলে নিয়েছে। আপনি মোটেই সৎভাবে তার কথা এখানে উপস্থাপন করেননি।
.
“সালাফিদের আক্বীদাহর বই, মানহাজের বই, আসমা ওয়াস সিফাতের কাওয়াইদের বই (!) প্রমোশনকে যামাখশারীর বই প্রমোশনের সাথে তুলনা করে দেবে। অথচ যামাখশারী ছিলো মু'তাযিলী। আসমা ওয়াস সিফাতেই ভুল করা লোক। এ দুঃখ কোথায় রাখি। এমনই আমাদের এই ভাইদের বিচার।”
.
আমাদের মন্তব্য: তুলনা বলতে যদি আপনি বোঝান যামাখশারীর বইয়ের সাথে আপনার অনূদিত আক্বীদাহর বইকে সমান হিসেবে দেখানো হয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনি এটা কোথায় পেলেন? আমি তো পোস্ট থেকে বুঝেছি যে, লেখক বোঝাতে চেয়েছে, প্রয়োজনে যামাখশারীর বই প্রোমোট করলে কেউ যদি যামাখশারীর সাথে একমত হয়ে যায় না, তেমনই আপনার বই প্রোমোট করলেও কেউ আপনার সাথে একমত হয়ে যায় না। যামাখশারীর উদাহরণ দেয়াতে লোকজন বিষয়টা আরো ভালো বুঝতে পেরেছে। কারণ কেউই এই ধারণা করবে না সালাফী উলামারা যারা যামাখশারীর বই প্রয়োজনে প্রোমোট করেছেন তারা তার ভুলগুলোর সাথে একমত। লেখক লিখেছে, "কারও নির্দিষ্ট একটি বই প্রোমোট করার মানে এই নয় যে, সে ব্যক্তি ওই বইয়ের লেখকের মতো একই চিন্তাধারা লালন করে।" সে যামাখশারীর বইয়ের কথা কেন এনেছে এখানে তা একদম স্পষ্ট। এরপরেও আপনি এতে দোষের কী দেখলেন?
.
"তবে এদের কারো মুখে কি শাইখ রাবী', শাইখ রাসলান, শাইখ উবাইদ আল জাবিরী, শাইখ সুলাইমান আর রুহাইলীর নাম মানায়, না লেখায় মানায়?"
.
আমাদের মন্তব্য: আপনার মুখে এই শাইখদের নাম কি মানায়? আপনার সমালোচনার যেই মানহাজ, অর্থাৎ নিজের সাথে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব আছে তাদেরকে যেসব "দোষ"-এর কারণে সমালোচনা করা, সেসব "দোষ" নিজের প্রিয় শাইখের থাকলেও সেগুলোর জন্য তাকে পাবলিকলি সমালোচনা না করা বা উপেক্ষা করা, আপনার চেয়ে বয়সের দিক থেকে বড়ো দাঈদের অশিক্ষিত, শ্রমিক নেতা, শ্রমিকদের শিক্ষক বলা, নাম বিকৃত করা, এসব কাজ এই শাইখরা কীভাবে দেখবেন? ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহর ব্যাপারে যে বলেছিলেন ইবনুল কাইয়্যিম সূফী, সূফীদের বই আমার পড়তে ভালো লাগে না বা পড়িনা, অথচ সেই আপনিই জাহমী 'আক্বীদাহধারী ইবন হাযম এর বিশাল ভক্ত, ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহর ব্যাপারে আলী হাসান খানের পোস্টে বলেছিলেন তিনি বিশ্বাস করেন মৃত ব্যক্তি মাঝেমাঝে শোনেন আর এটা পাগলামি, এছাড়া বলেছিলেন তার শিরকি 'আক্বীদাহ আছে, যখন আপনাকে বলা হলো যেই বইটার আক্বীদাহকে আপনি শিরক বলছেন সেটা শাইখ ইবন বায, শাইখ ইবন উসাইমীন, শাইখ সালিহ আল আশ শাইখ পড়িয়েছেন, আপনি বলেছিলেন আপনি মনে করেন হাম্বলী উলামারা এসব পড়ানোর সময় ইবনে তাইমিয়্যাহর কথাগুলোর তাবিল করেন, আরো বলেছিলেন, তারা ইবন তাইমিয়্যাহর ক্ষেত্রে নম্রতা দেখান কারণ তিনিও হাম্বলী ছিলেন, কিন্তু ইবনে হাযমের ক্ষেত্রে কঠোরতা দেখান, এসব বিষয় যদি এই উলামাদের কাছে পৌঁছানো হয়, তারা আপনার সম্পর্কে কী বলবে? দীনি বিষয়ে আলোচনায় নিজের বংশীয় ইতিহাস ও নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা তুলে ধরে নিজেকে বড়ো করে তুলে ধরা আর অন্যদের ছোটো করার কথা এই উলামাদের জানালে তারা কি বিষয়টা ভালো মনে করবে?
.
"আলহামদুলিল্লাহ আমি যেহেতু হিযবী নই, তাই হিযবীদের সাথে আমার আসলেই আদর্শগত পার্থক্য আছে।"
.
আমাদের মন্তব্য: এখানে কি আপনি আপনার সাথে আদর্শগত পার্থক্য আছে দাবিকারীকে হিজবী বলছেন? উত্তর না হলে এখানে হিজবী বলতে উদ্দেশ্য কে বা কারা? তাদেরকে হিজবী বলার ব্যাপারে যাকারিয়া স্যার কি আপনার সাথে একমত? হিজবী বলে যদি আপনি তাবদি উদ্দেশ্য করে থাকেন তাহলে সেই তাবদির ব্যাপারে কি যাকারিয়া স্যার একমত? আপনি যেহেতু শাইখ রাবীর কথা বললেন, আপনি হয়তো জানেন যে শাইখ ইহইয়া তুরাসকে বিদ'আতী বলেন এবং তাদের নেতা আব্দুর রহমান আব্দুল খালিককে রদ করে বই লিখেছেন। শাইখ কিন্তু তার বইয়ে বড়ো আলিমদের থেকে ভূমিকা লিখিয়ে এনেছেন। তো আপনি দেশে যাদেরকে হিজবী, বিদ'আতী, ইখওয়ানী মনে করেন, আপনার উচিত তাদের পরিচয় উল্লেখ করে, শাইখ রাবীর মতো বিষয়টা স্পষ্ট করা, আর তাদের বিরুদ্ধে ইলমী রদ লিখে তাদেরকে হিজবী, বিদ'আতী, ইখওয়ানী প্রমাণ করা। অতঃপর শাইখ যাকারিয়াকে দিয়ে ওটার ভূমিকা লিখিয়ে এনে প্রচার করা। এক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় হবে, যেমন ১/ শাইখ রাবীর মানহাজ অনুসরণ করা, ২/ নিজের অবস্থান পুরো স্পষ্ট করা, ৩/ নিজের অবস্থানের পক্ষে জ্ঞানী কাউকে এনে সেটাকে আরো শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে মানুষের কাছে উপস্থাপন করা, ৪/ হক কথা বলার আহ্বানে ডাবল স্ট্যান্ডার্ডবাজি থেকে মুক্ত থাকা। আপনি শুধু যাদের সাথে আপনার ব্যক্তিগত দ্বন্ধ আছে তাদেরকেই অমুক তমুকের বিরুদ্ধে বলার আহ্বান জানাবেন কিন্তু যাকারিয়া স্যারকে নীরব থাকতে দিবেন, এটা কীভাবে হয়? স্যার দেশে সালাফীদের মাঝে সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি বা জ্ঞানী ব্যক্তিদের একজন। সালাফীদের মাঝে তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক। হক কথা বলার ক্ষেত্রে, হিজবী, ইখওয়ানীদের মূলোৎপাটনের ক্ষেত্রে এমন কেউ নেই যে তার চেয়ে নেতৃত্ব দেয়ার অধিক উপযুক্ত। নাকি আপনার পক্ষে এটা করা সম্ভব হবে না কারণ যাকারিয়া স্যার আপনার সাথে এসব বিষয়ে একমত না বা একমত হলেও তার কোনো ওজরের কারণে তিনি এটা করবেন না, এবং এটাকে আপনি মেনে নিয়েছেন কিন্তু অন্যদের ক্ষেত্রে আবার মানেন না?
.
"আলেমদের আগে নিজে নিজে সরকারের তাকফির করা ছেলেটির সম্পর্কে শাইখ রাবী' বা শাইখ উবাইদ কি বলতেন?"
.
আমাদের মন্তব্য: আপনি সম্ভবত আব্দুল্লাহ মাহমুদ ভাইয়ের ব্যাপারে বলছেন যে তিনি সরকারকে তাকফীর করেছেন। অথচ তিনি সরাসরি তাকফীর করার বিষয়টা অস্বীকার করেছেন। তিনি তাকফীর করেছেন এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন? নাকি তিনি তাকফীর না করার পরে আপনি কোনোভাবে বুঝে নিয়েছেন তিনি তাকফীর করেছেন যাতে তাকে তাকফিরী ট্যাগ দিয়ে আপনার ব্যক্তিগত বিদ্বেষ উগড়ে দেয়ার সুযোগ পাওয়া যায়? যদি তার ব্যাপারে না বলে থাকেন, তাহলে কার ব্যাপারে বলেছেন স্পষ্ট করা উচিত ছিল আপনার। আপনি কি এসব ছেলেপেলে থেকে মানুষকে সতর্ক করা জরুরি মনে করেন না? আর আপনি যেই ছেলের কথাই বলে থাকেন, আলিমদের আগে নিজে নিজে সরকারকে তাকফীর করার কারণে তার ব্যাপারে হুকুম কী হবে তা আলিমদের জন্য বা দেশে যাকে আপনি জ্ঞানী মনে করেন, যেমন যাকারিয়া স্যারের জন্য ছেড়ে দিচ্ছেন না কেন? আপনি কি কাইজ্জার বিরুদ্ধে, অ্যাকাডেমিক আলোচনার পক্ষে? নাকি সেটা শুধু হারুন ইজহারদের ক্ষেত্রে?
.
"আর সেই ছেলেকে সালাফি ডেকে মাযহাবের পার্থক্য দেখিয়ে সালাফির সাথে আদর্শগত পার্থক্য দেখানো আর কোন আলেমের আগেই সরকারের তাকফিরে বিশ্বাসীকে সালাফি ডাকা আর শুধু দ্বীনের মাস'আলায় পার্থক্য আছে এ কথা বলা মানুষটিকেই কি বলতেন।"
.
আমাদের মন্তব্য: বুঝতে পারলাম আব্দুল্লাহ মাহমুদ ভাইয়ের কথাই বলছেন। এই ব্যাপারে যা বলার সেটা ইতোমধ্যেই বলেছি। আর এখানেও আপনি আব্দুল্লাহ মৃধার কথা তুলে ধরতে সততার পরিচয় দেননি। আপনার সাথে শুধু মাযহাবের পার্থক্য দেখিয়ে আদর্শগত পার্থক্যের দাবি করা হয়নি এটা আগেই দেখিয়েছি। আপনিও তো লেখাটা পড়েছেন। তাহলে কেন বারবার ব্যাপারটা ভুলভাবে তুলে ধরছেন? যাতে আপনার পাঠক ভাবে আব্দুল্লাহ আপনার মতো অসৎ লোক? আপনি মাহমুদ ভাইকে সালাফী ডাকার বিরোধিতা করলেন। তো তাকে যে আপনি তাবদি করলেন, যদি যাকারিয়া স্যার আপনার কাছে ওজর ও ভুল সংশোধনের নাসীহাত পায়, তাহলে সেও কি যাকারিয়া স্যারের মতো কোনো ওজর বা নাসীহাত পাবে না? আমি মোটেই বলছি না যে যাকারিয়া স্যার সরকারকে তাকফীর করার সমপর্যায়ের কিছু করেছেন তাই দুইটা বিষয়ের প্রতিক্রিয়া একই রকম হওয়া উচিত, কিন্তু ওজর ও নাসীহাত কি শুধু যাকারিয়া স্যারের সমপর্যায়ের ভুলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এবং মাহমুদ ভাই যা করেছেন বলে আপনি দাবি করেছেন (বাস্তবে উনি তাকফীর করার কথা অস্বীকার করেছেন যেমনটা আগেও বলেছি) সেটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না? যাকারিয়া স্যারও কি এমন মনে করেন? তিনি কি মাহমুদ ভাইকে বিদ'আতী বলেন? না বললে আপনি কি তার বিরোধিতা করেছেন? না করলে কেন করেননি? যাকারিয়া স্যার যে ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ কুল্লাবী ছিলেন কিনা এই বিষয়ে মাহমুদ ভাইয়ের পোস্ট শেয়ার দিয়েছিলেন, এই বিষয়েও তো আপনাকে কিছু বলতে দেখলাম না, নাকি গোপনে নাসীহাত করেছেন? করলেও তো স্যার আপনার কথা শোনেননি, তার টাইমলাইনে এখনো পোস্টটা শেয়ার করা আছে। সেক্ষেত্রে নাসীহাত করার পরে বিদ'আতীকে প্রোমোট করার কারণে যাকারিয়া স্যারের বিরুদ্ধে আপনি অবস্থান নিচ্ছেন না কেন?
.
"আল্লাহ্ এ ভাইদের হিদায়াত দিন। এদের হাতে সালাফিয়্যাহ আর সালাফি কিছুই নিরাপদ না।"
.
আমাদের মন্তব্য: আপনার কাছ থেকে আপনার সাথে সুসম্পর্ক রাখা লোকজন ছাড়া দেশের কোন সালাফী নিরাপদ এটা একটু জানান আমাদের। আপনি তো তাদের অন্তরে ঢুকে গিয়ে খবর বের করে এনে পোস্ট করে দেন তাদের জনপ্রিয়তার লোভ, তাযকিয়ার লোভ, সাপোর্টের লোভ ও তারা রুটি রুজি কাদের থেকে আসে বলে মনে করে এসব ব্যাপারে।
.
"হিযবীদের দ্বারা পরিচালিত মাদ্রাসা লাইনের সবচেয়ে ভালো সালাফিয়্যাহ আছে বলে যাকে মনে করবে, দুইদিন পর সে হিযবিয়্যাহ দেখিয়ে সালাফিদের সম্পর্কে বাজে কথা বলবে, মিথ্যা কথা বার্তা বলতে কোন লজ্জা করবে না।"
.
আমাদের মন্তব্য: সম্ভবত আপনি আহলে হাদীসদের এক বা একাধিক মাদ্রাসাকে এখানে হিজবীদের দ্বারা পরিচালিত বললেন। সেক্ষেত্রে তাদের হিজবী বলার ব্যাপারে আগের কথাগুলোই বলবো। আর হিজবিয়্যাহ দেখিয়ে সালাফীদের সম্পর্কে বাজে কথা বলা সম্পর্কে যা বললেন, এখানে হিজবিয়্যাহ দেখানো বলতে উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য যদি হয় কোনো দলের পক্ষ নিতে আপনার বিরুদ্ধে বলা, সেক্ষেত্রে এমনটা কে করেছে? আর সে যে দলের পক্ষ নিতে আপনার বিরুদ্ধে বলেছে এটা আপনি কীভাবে জানলেন? আবারো কি কুধারণা করে কথা বললেন? কুধারণা করে মানুষের অন্তরের গোপন বিষয় সম্পর্কে যেসব বলেছেন এই পর্যন্ত, এগুলোর ব্যাপারে যদি কসম করতে বলা হয়, বা যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনেছেন তারা যদি আপনাকে এসব বিষয়ে মুবাহালার আহ্বান জানায়, আপনার নিজের সত্যবাদিতার পরীক্ষা দেয়ার সাহস হবে তো তখন? মিথ্যা বলতে কার লজ্জা করে না এটা তো একদম সূর্যের আলোর মতো স্পষ্ট।
.
"এদের হাত থেকে সালাফিয়্যাহ নিরাপদ না। সালাফিরাও নিরাপদ না। এদের কেউ শাইখ রাবী', শাইখ রাসলান, শাইখ সুলাইমান এর নাম নিলেও সাবধান থেক। এরা আসলে এগুলো মীন করছে না।"
.
আমাদের মন্তব্য: "এদের" না বলে "আমার" বললে একদম উপযুক্ত হতো। আপনার যা অবস্থা তুলে ধরলাম, যেসকল শাইখের নাম উল্লেখ করলেন এগুলো তাদের সামনে তুলে ধরলে তারা হয়তো এটাই বলতেন।
.
"এদের রুটি রোজগার যেহেতু নানা হিযবের উপর আর সেসব হিযবের দ্বারা পরিচালিত মাদ্রাসার উপর নির্ভরশীল তাই এদের দুই একজন সত্য বুঝতে পারলেও তা গোপন করে মিথ্যা বলবে। আল্লাহ্র ভয় খুব কম করবে।"
.
আমাদের মন্তব্য: আপনি জানলেন কীভাবে এরা রুটি রোজগারের কারণে মিথ্যা বলবে? আপনি কি মিথ্যা বলে রোজগার করতে অভ্যস্ত তাই অন্যদের সম্পর্কেও সহজেই এমন ধারণা করতে পারেন? আল্লাহর ভয় আপনার কতোটুক আছে ভালমতোই দেখতে পাচ্ছি।
.
"এদের কাউকে যদি সালাফি মনেও কর, এরা সুযোগমত হিযবের লোকেদের সাপোর্ট পেতে সালাফিদের অপমান করতে রং বদলাবে, আর নিজেদের হিযবের নেতাদের ব্যাপারে একদম চুপ করে বসে থাকবে।"
.
আমাদের মন্তব্য: তারমানে কি এদের সালাফী মনে করা উচিত না? যাদের ব্যাপারে এখানে বলছেন, তাদের কি যাকারিয়া স্যার চিনেন? চিনলে তাদের সালাফী মনে করা বা না করা সম্পর্কে যাকারিয়া স্যারের অবস্থান কী? আর ওই হিজবের নেতাদের ব্যাপারেই স্যারের অবস্থান কী? স্যারও কি তাদের ব্যাপারে চুপ করে বসে থাকেন? থাকলে স্যারের কারণ কী? অন্যদের ব্যাপারে যেমন রুটি রোজগারের কথা বললেন, স্যারের ব্যাপারে কী বলবেন? স্যারেরই শুধু শরিয়তসম্মত ওজর আছে মনে হয়, তাইনা?
.
"হয়তো বিশ্বাস করলে গোপনে স্বীকার করবে, কিন্তু মুখে অন্য কথা বলবে।"
.
আমাদের মন্তব্য: এখানেও সেই দু মুখো হওয়ার কাহিনী এনেছেন। সালাফী দাওয়াতের নামে ইখওয়ানিয়্যাত ও হিযবিয়্যাত নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কে আপনার সাথে দু মুখো আচরণ করেছে এটা নিয়ে এত স্মৃতিচারণ করার মানে কী? দীনি বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েও নিজের উচ্চবংশীয় ও উচ্চশিক্ষিত হওয়ার আলাপে চলে যান। পেইজের নাম "আবূ হাযমের ইসলামী ভাবনা" হওয়ার চেয়ে "আবূ হাযমের জীবনের সুখ ও দুঃখ" হলেই বেশি উপযুক্ত হতো।
.
"শুধু সেফ দুই একজন, যারা হিযবের অংশ না এরকম লোকেদের রাদ্দ করে নিজেদের সিরিয়াস দেখাবে।"
.
আমাদের মন্তব্য: আচ্ছা, আপনার ক্ষেত্রে কি এমন বলা যায় যে, আপনি নিজেই হিজবী, যাকারিয়া স্যারকে নিজের হিজবের অংশ মনে করেন, তাই তাকে রদ করেন না আর অন্যদের রদ করে নিজেকে সিরিয়াস দেখান, আর যাদের এক সময়ে নিজের হিজবের অংশ মনে করতেন, তখন তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতেন না, কিন্তু যখন দেখলেন এরা আপনার হিজবের অংশ না, তখন এদের মাঝে পূর্বে যেসব বিষয় ছিল সেগুলো এখন দোষ হিসেবে তুলে ধরছেন অন্যান্য মিথ্যা অপবাদও দিচ্ছেন?
.
"আমারা যারা সালাফি, তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলে আমরা আমাদের শাইখদের ভুলও অকপটে স্বীকার করি। আমরা দলীয় ব্যক্তির পূজা, শাইখ পূজা করি না। আমরা কোন আলেমেরও পূজা করিনা। দলেরও পূজা করিনা। আমরা সালাফিরা গোপনে ও বাহিরে দুই রকম কথা বলিনা। তবে হ্যাঁ, কারো ত্রুটি বা বড় সমস্যাও বুঝতে পারলে অনেক সময় গোপনে সেসব আলোচনা করি, সত্যাসত্য নিশ্চিত করি। বিষয়গুলোতে মাসলাহাহ ও মাফসাদাহ ওজন করে কাজ করি। কিন্তু দুই রকম বলিনা।"
.
আমাদের মন্তব্য: খুব ভালো কথা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অন্য কেউ মাসলাহাহ ও মাফসাদাহ ওজন করে চুপ থাকছে নাকি জনপ্রিয়তা, সাপোর্ট পাওয়ার জন্য চুপ থাকছে এটা আপনি বোঝেন কী করে? ওপরে উস্তায মতিউর রহমানসহ যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনলেণ তারা মাসলাহাহ, মাফসাদার কথা ভাবেনি, বরং তাদের অন্তরে খারাপ উদ্দেশ্য আছে এটা আপনাকে কি শয়তান ওহী করেছে? আপনার সাথে ভালো কানেকশান আছে বোঝা যাচ্ছে। আর আপনার মতো অসৎ ব্যক্তি মানুষের প্রকাশ্যে বলা কথা যেভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করে তাদের দোষারোপ করেন, গোপনে বলা কথা সঠিকভাবে উপস্থাপন করবেন এমন বিশ্বাস করা কঠিন।
.
প্রিয় পাঠক, দেখলেনতো এই বদবখত এর অবস্থা! পরিশেষে প্রিয়নবী মুহাম্মদূর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর একটি হাদীস দিয়ে শেষ করছি যেখানে তিনি বলেছেন, "একজন মুমিন ব্যক্তি নম্র ও ভদ্র হয়। পক্ষান্তরে একজন পাপী মানুষ ধূর্ত ও চরিত্রহীন হয়।” [তিরমিযী হা/১৯৬৪; মিশকাত হা/৫০৮৫]। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে নম্র-ভদ্র হওয়ার এবং ধূর্তদের সঙ্গত্যাগ করবার তাউফিক দান করুন, আমীন।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▌ধূর্ত 'আবূ হাজম' প্রসঙ্গে দুটো কথা...
.
ফেসবুকের উচ্চবংশের নিম্নশ্রেণীর কির্বোড সন্ত্রাসী জনাব আবূ হাযমকে আপনারা চিনেন। নিজের চরমপন্থি মানহাজ, আদবহীনতা ও উগ্রতার কারণে দেশের আহলে হাদীস সমাজের কাছে ব্যাপকভাবে সমালোচিত ও নিন্দিত হয়েছে। তবে তার যেসব সমস্যার ব্যাপারে এখনো কাউকে বলতে দেখিনি সেটা হচ্ছে, সে ইদানিং তার ফেসবুক পেজটাকে কাজে লাগায় স্রেফ তার সাথে যাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব আছে তাদের বিরুদ্ধে আক্রোশ ও বিদ্বেষ উগড়ে দিতে, এবং সে এটা করে তাদেরকে খোঁচা মেরে নানান কথাবার্তা বলার মাধ্যমে। অন্যদিকে একই বিষয়েই সে শাইখ আবূ বকর যাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)-এর সমালোচনা করে না। অথচ তার মতে শাইখ বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও মানহাজের ইলমধারী ব্যক্তি। তাহলে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করার ক্ষেত্রে শাইখেরই কি প্রধান ভূমিকা পালন করা উচিত না? সে হয়তো বলবে সে ব্যক্তিগতভাবে শাইখকে এসব বিষয়ে নাসীহাত করেন, সেক্ষেত্রে কথা হচ্ছে, শাইখ কি তার নাসীহাত গ্রহণ করছেন? শাইখকে আমরা একাধিকবার একাধিক সময়ে কতিপয় এমন কাজ করতে দেখেছি, যেসবের কারণে আবূ হাযম অন্যদের উগ্র সমালোচনা করে, কিন্তু শাইখের ক্ষেত্রে সে তা করেনি। তাহলে কি এই প্রতিবারই আবূ হাযম শাইখকে ব্যক্তিগত ভাবে নাসীহাত করে গেছে এবং সবসময় তার ব্যাপারে ধৈর্যশীলতা বজায় রেখে আসছে? সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হলো, অন্য সবার ক্ষেত্রে কি সে এই নীতি অবলম্বন করে? উত্তর হচ্ছে, না। বোঝা যায় যে যাকারিয়া স্যারের অপছন্দনীয় কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আবূ হাযম তাকে বিভিন্ন ওজর দেয়, অথচ তাকে এই কাজ অন্যদের ক্ষেত্রে করতে দেখা যায় না, বরং সে অনেক সময় তাদের অন্তরের গোপন অবস্থার ব্যাপারে কুধারণা করে তাদের ব্যাপারে মিথ্যা অপবাদ দেয়। এটাও হতে পারে যে, সে মনে করে এসব বিষয়ে কথা বলা শাইখের জন্য ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে জরুরিই না। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে যে, কোন দলীলের আলোকে তা শাইখের জন্য জরুরি না এবং সে যাদের পেছনে লাগে তাদের জন্য জরুরি, এবং স্যারও কি ওই দলীল থেকে একই বিষয় বোঝেন কিনা, নাকি সে নিজে নিজে গবেষণা করে এই বুঝ আবিষ্কার করেছে এবং এটা শুধু তারই বুঝ? আমরা নীচে তার একটা আর্টিকেলের ওপর কিছু মন্তব্য করবো এবং এর মাধ্যমে তার সমালোচনার অসৎনীতি' যার ব্যাপারে আমরা ওপরে উল্লেখ করলাম, তা তুলে ধরবো। আমাদের মন্তব্যগুলো দেখে কেউ কোনোভাবেই ভাববেন না আমরা জাকারিয়া স্যারকে অসম্মান করতে চাচ্ছি বা বলতে চাচ্ছি স্যারের সাথে আবূ হাযমের বেয়াদবি করা উচিত। বরং আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আবূ হাযমের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখানো।
.
আবূ হাযম সাহেব লিখেছে:
"যখন সালাফিয়্যাহ ও শুদ্ধ আক্বীদাহ, মানহাজের দাঈকে গাল দিতে মন চাইবে, তখন আল্লাহ্ দুনিয়াতে অপমানের ব্যবস্থা করে দেবেন এভাবে যে ইবতিসাম ইলাহী যাহিরের মত ইখোয়ানি জামাতে ইসলামীর প্রতি প্রেমে মত্ত লোককে আল্লামাহ বলে সম্বোধন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। কারাদাওয়ীর জন্য কেঁদে কেটে পোস্টগুলো যখন দেওয়া হবে, আল্লাহই বরং এদের অপমান করছেন।"
আমাদের মন্তব্য: জি, আবার অন্য ভাবেও আল্লাহ শুদ্ধ আক্বীদাহ মানহাজের দাঈদের আখতারু, শ্রমিক নেতা, শ্রমিকদের শিক্ষক বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা ব্যক্তিকে মানুষের কাছে অপমানিত করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
.
"আমার ধারণা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তাদের কেউ কেউ ইবতিসামকে সম্ভবত ঠিক মত চেনেনও না।"
.
আমাদের মন্তব্য: আপনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার পূর্বে অন্তত যাকারিয়া স্যারকে চিনিয়ে দিতে পারতেন ইবতিসাম ইলাহী যাহির কে, আর তাকে পরামর্শ দিতে পারতেন যেন তিনি আয়োজকদের উপদেশ দেন ইবতিসাম সাহেবকে দিয়ে বক্তব্য না দেয়াতে।
.
"একদল এ বিষয়ে কিছু বলবে না, কারণ তারা উর্দু ভাষার পূজা করে। আরেকদল কিছু বলবে না, কারণ তারাও ইবতিসামের মানহাজেই আছে। তার হিযবেই আছে।হাজার হোক, ইবিতিসাম ইলাহীও তো জাম'ইয়্যাহ করে।"
.
আমাদের মন্তব্য: আমরা জানি যাকারিয়া স্যার স্বয়ং এই কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়েছেন। তাহলে এই কনফারেন্সে ঘটে যাওয়া মন্দ বিষয়াদির বিরুদ্ধে কি তারই আগে বলা উচিত ছিল না? এছাড়া আপনি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, মানুষের কাছে তো এদের অতটা গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা নেই যতটা স্যারের আছে। সেক্ষেত্রে স্যার এই বিষয়ে মুখ খুললে নিঃসন্দেহে এর সুফল হতো অনেক বেশি। নাকি আপনার মতে এই বিষয়ে স্যারের কোনো দায়িত্ব নেই, শুধু দায়িত্ব আছে যাদের সাথে আপনার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব আছে তাদের? যদি বলেন যে আপনি শাইখকে ব্যক্তিগতভাবে নাসীহাত করেছেন এই বিষয়ে, তাহলে আপনি বলার পরেও স্যার কেন মুখ খুললেন না? আর তাকে নাসীহাত করার পরেও যে তিনি মুখ মুখলেন না, তবুও আপনি কেন তার ব্যাপারে এখনো চুপ? নাকি আপনি দুনিয়ার সব ওজর শুধু স্যারের ভুলের জন্য বরাদ্দ করেছেন আর আপনার সাথে যাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব তাদের জন্য বরাদ্দ করেছেন 'তাদের নিয়ত ও অন্তরের গোপন অবস্থার ব্যাপারে কুধারণা ভিত্তিক মিথ্যা অপবাদ'?
.
"সৌদিতে থাকা জাসুসীকে হালাল ফতোয়া (আউযুবিল্লাহ!) দেওয়া হুজুরটিও আজকে কিন্তু একদম স্পিকটি নট। ইবতিসাম যে কথায় কথায় জামাতের প্রশংসা করেন এসব বিষয়ে কোন ওপেন ওয়ার্নিং দেওয়া যাবেই না। দিলে সাপোর্টের কি হবে?"
.
আমাদের মন্তব্য: আবারো আপনার সাথে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব আছে এমন কেউ কিছু বললো না কেন এই আলাপ শুরু করেছেন। যেই যাকারিয়া স্যার কনফারেন্সে স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন তার চেয়ে মতিউর রহমান মাদানীর এই ইস্যুতে কথা বলার দায়িত্ব কি বেশি? আবার তার ব্যাপারে কুধারণা করলেন যে, তিনি সাপোর্টের জন্য মুখ খোলেননি। তো যাকারিয়া স্যার কোন কারণে মুখ খুললেন না? যদি ধরে নিই যে আপনি অন্যদের এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে সমালোচনা করলেও স্যারকে অন্তন্ত গোপনে নাসীহাত করেছেন, সেক্ষেত্রে তো তার মুখ না খোলার ব্যাপারটা আরো ভয়ানক হওয়া উচিত আপনার কাছে। নাকি আপনি তাকে নানা ওজর দিয়েছেন বা তার কাছে তার ওজর শুনেছেন কারণ সে আপনাকে সাপোর্ট দেয়, কিন্তু উস্তায মতিউর রহমান সাহেবের সাথে আপনার ব্যক্তিগত দ্বন্ধ থাকায় আন্দাজে তার বিরুদ্ধে এত বড়ো একটা অভিযোগ আনলেন? ভাবনার বিষয় হচ্ছে, মতিউর রহমান মাদানী লোকজনের সাপোর্ট পেতে মুখ খোলেননি নাকি আপনি যাকারিয়া স্যারের সাপোর্ট পেতে তার বিরুদ্ধে কোনো ইস্যুতে এভাবে সমালোচনা করেন না ও তার নিয়ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন না?
.
"অবশ্য তিনি কারাদাওয়ীর প্রশংসায় গদগদ হওয়া জাম'ইয়্যাহ এর বড় বড় নেতার কাউকেই ভর্তসনা করেননি। দেওবান্দী হুজুরের মৃত্যুতে কেঁদে কেটে থাওব ভিজিয়ে ফেলা বেরাদারদের ওপেনলি কিসসু বলেননি। অথচ এখানে ওপেন আলোচনা করার দরকার ছিলো। উনাদের ওপেন সাবধান করা দরকার ছিলো।"
.
আমাদের মন্তব্য: শুধু কারাদাওয়ীর প্রশংসায় গদগদ হওয়া জাম'ইয়্যাহ এর বড় বড় নেতা ও দেওবান্দী হুজুরের মৃত্যুতে কেঁদে কেটে থাওব ভিজিয়ে ফেলা বেরাদারদের ওপেনলি কিছু বলতে হবে? নাকি দেওবন্দীদের দুই আকাবির মাওলানা আহমাদ শফী ও মাওলানা বাবুনগরী সাহেব মারা যাওয়ার পর যাকারিয়া স্যার তাদের যেই ভাষায় প্রশংসা করলেন তার কারণেও মতিউর রহমান মাদানীর উচিত ছিল যাকারিয়া স্যারকে প্রকাশ্যে নিন্দা করা? আচ্ছা উনি নাহয় পারলেন না, কিন্তু আপনি এই কাজ করলেন না কেন? নাকি গোপনে নাসীহাত হবে শুধু যাকারিয়া স্যারের বেলায়? আচ্ছা, যদি আপনি গোপনে নাসীহাতই করে থাকেন, কয়বার করেছিলেন? একবার না দুইবার? যদি একবার করে থাকেন, তাহলে সেটা মাওলানা আহমাদ শফীর ক্ষেত্রে না মাওলানা বাবুনগরীর ক্ষেত্রে? যদি আহমাদ শফীর ক্ষেত্রে হয়, সেক্ষেত্রে স্যার তো আপনার নাসীহাত শোনেননি, কারণ তিনি বাবুনগরী সাহেব মারা যাওয়ার পরে একই কাজ করেছেন। সেক্ষেত্রে আপনি স্যারের বিরুদ্ধে বললেন না কেন? আপনি তো অলরেডি তাকে বুঝিয়েই দিয়েছিলেন যে কাজটা ঠিক না, তাইনা? তাহলে তো উনি পরের বার বুঝেশুনে সালাফী মানহাজ বিরোধী কাজ করলেন। আপনি দুইবারই নাসীহাত করে থাকলেও এই কথাগুলো প্রযোজ্য। আর যদি একবার নাসীহাত করে থাকেন এবং সেটা হয় বাবুনগরী সাহেব মারা যাওয়ার পর, তাহলে প্রথমবার কেন নাসীহাত করলেন না?
.
"উনি জাম'ইয়্যাতের বেশ কিছু বড় নেতাদের ইখোয়ানপ্রীতি নিয়ে কখনো কিছু বলেননা। অবশ্য যে ব্যক্তি সালাফিদের পিছে লাগে, তার কাছ থেকে আমরা সালাফিরা খুব বেশী আশা করিও না।"
.
আমাদের মন্তব্য: যাকারিয়া স্যারও তো বলেন না। আর যাকারিয়া স্যারের না বলা নিয়েও আপনি কিছু বলেন না। আর আপনার মতে যাকারিয়া স্যারের দুই কাছের বন্ধু ডক্টর সাইফুল্লাহ এবং ডক্টর মানজুরে ইলাহী ইখওয়ানী। সেক্ষেত্রে আপনি কেন স্যারকে সমালোচনা করছেন না তাদের সাথে সম্পর্ক রাখার কারণে? নাকি তাকে গোপনে নাসীহাত করেছেন? সেক্ষেত্রে আপনার নাসীহাত উনি মোটেই শুনছেন না। তো আপনি তবুও স্যারের বিরুদ্ধে অবস্থা নিচ্ছেন না কেন? আর উস্তায মতিউর রহমান কর্তৃক আপনার নিজের বিরুদ্ধে বলাটাকে সালাফীদের বিরুদ্ধে বলা বানিয়ে দিলেন, এর কারণ কী? উস্তায মতিউর রহমান মাদানী নিজেই তো সালাফী, বহুলোক তার কাছে সালাফী আক্বীদাহক, মানহাজ শিখেছে, এবং তিনি সালাফী উলামা ও তুল্লাবুল ইলমদের প্রশংসা করেন। ব্যাপারটা তো এমন না যে আবূ হাযম মানেই সালাফিয়্যাহ, সালাফিয়্যাহ মানেই আবূ হাযম, তাই আপনার বিরুদ্ধে বললেই আপনি বলতে পারবেন সালাফীদের বিরুদ্ধে বলেছে। এছাড়া আপনি বললেন, আমরা সালাফীরা তার কাছ থেকে খুব বেশি আশা করি না। অথচ সালাফীরা তার কাছে অনেক কিছুই আশা করে। আপনি ও আপনার গুটি কয়েক অনুসারীরা করে না। আপনার আন্ডারে থাকা ছোট এই বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী কোনোদিনই সালাফীদের রিপ্রেজেন্ট করে না, তাই আপনার এই কথা একদমই সঠিক না। নাকি আপনি আপনার আন্ডারে থাকা ছোট এই গোষ্ঠী বাদে সবাইকে সালাফিয়্যাহ থেকে খারিজ করে দিয়েছেন? সেক্ষেত্রে আপনি একজন কট্টর হাদ্দাদী ছাড়া কিছুই না।
.
“দেখি সালাফি ভাইদের সামনে এক কথা আর জনপ্রিয়তার লোভে বাহিরে আরেক কথা বলা কম বয়সী মাদ্রাসার হুজুরকে চাপে ফেলে বারা'আতের পোস্ট দেওয়ানো যায় কিনা।”
.
আমাদের মন্তব্য: দেখি প্রাইভেট চ্যাটে যাকারিয়া স্যারকে "ইখওয়ানী ছিলেন, কিছু ব্যাগেজ রয়ে গিয়েছে", “নতুন লোক দরকার” বলা আর বাইরে বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও মানহাজধারী দাঈ হিসেবে তুলে ধরা আবূ হাযম শাইখ যাকারিয়াকে নাসীহাত করে বারা'আতের পোস্ট দেয়াতে পারে কিনা আর না পারলে তার বিরুদ্ধেও জনপ্রিয়তার লোভ থাকার অভিযোগ আনে কিনা। আর দুই রকম কথা বলার অভিযোগ আপনি বারবার এনেছেন। এই বিষয়ে কিছু স্পষ্টকরণ দরকার। আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন যে, আপনি যার দিকে ইঙ্গিত করছেন সে প্রাইভেটে এক কথা বলে কিন্তু পাবলিকলি এমন কথা বলে যেটা প্রাইভেটে বলা কথার বিপরীতমুখী (যেমন প্রাইভেটে বললো অমুক বিদ'আতী কিন্তু পাবলিকলি বললো সে সালাফী), নাকি সে প্রাইভেটে যেসব কথা বলে পাবলিকলি সেসবের সব বলে না? যদি প্রথমটা হয়, সেক্ষেত্রে আপনি যাদের বিরুদ্ধে দুই রকম কথা বলার অভিযোগ আনছেন, পরবর্তীতে দু মুখো বলেছেন, তারা কি আসলেই দু মুখো? আপনি কসম করে এই দাবি করতে পারবেন? এটা বলছি কারণ, আপনি এই ইদানিং অন্যদের অন্তরের গোপন অবস্থা সম্পর্কে কুধারণামূলক মিথ্যা কথা বলছেন এবং এই পোস্টেও একজনের বিরোধিতা করতে গিয়ে তার কথার অসৎ উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া আরেকজনের বিরুদ্ধে সরকারকে তাকফীর করার অভিযোগ এনেছেন যদিও সে নিজেই তাকফীর করার কথা অস্বীকার করেছে। যাইহোক, দুই রকম কথা বলার অভিযোগ দ্বারা যদি আপনি আমাদের উল্লিখিত দ্বিতীয় বিষয়টি উদ্দেশ্য করেন, সেক্ষেত্রে যাকারিয়া স্যারের ব্যাপারে ওসব বলার কারণে, এছাড়াও প্রাইভেটে একাধিক আহলে হাদীস দাঈদের বিরুদ্ধে আশ'আরী আক্বীদাহ খাওয়ানোর অভিযোগ আনা, ডক্টর সাইফুল্লাহ, ডক্টর মানজুরকে বিদ'আতী বলা, কিন্তু পাবলিকলি এসব তখন না বলার কারণে আপনাকেও কি দু মুখো বলা যায় না? আর প্রাইভেটে দেয়া সব মত পাবলিকলিও যে কারো জন্য, যে কোনো পরিস্থিতিতে দেয়া ফরজ এমন একটা ফতোয়া নিয়ে আসুন তো পারলে উলামাদের থেকে!
.
“ইবতিসাম ইলাহী যে কত বড় ইখোয়ানি দেখার জন্য ইউটিউবে গুগলে তার কার্যকলাপ সার্চ করাই যথেষ্ট।
এই লোককে যারা আল্লামাহ বলে প্রচার করে সেই মূর্খদের কাছে গালমন্দ পাওয়া আসল সালাফিদের সালাফিয়্যাত মাত্র প্রতিষ্ঠা করে আলহামদুলিল্লাহ।”
.
আমাদের মন্তব্য: যারা এই লোককে দিয়ে বক্তব্য দেয়ালো আর তাকে আল্লামাহ ডেকে পরিচয় করিয়ে দিলো, তারা তো যাকারিয়া স্যারকে গালমন্দ করছে না, বরং তাদের সব কনফারেন্সে দাওয়াত দিচ্ছে। তাহলে তিনি কি আপনার মতো হক কথা বলে গালমন্দ খেয়ে আসল সালাফী হতে পারেননি এখনো?
.
“আবার কেউ তাকফিরি, কেউ খাওয়ারিজের আক্বীদাহ মানহাজ পোষণ করা লোকের সম্পর্কে সালাফি ভাইদের কাছে এক কথা বলবে আর মানুষের সামনে তাদের সাথে নিজেদের পার্থক্য শুধু ধর্মীয় মাস'আলাহর বলে তাদের সালাফিই আখ্যা দেবে আর আসল সালাফিদের সাথে তাদের আদর্শগত পার্থক্য আছে বলে মাজহাবের পার্থক্য দেখিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে দেবে।”
.
আমাদের মন্তব্য: এখানে সম্ভবত আপনি আব্দুল্লাহ মৃধার পোস্ট ও আব্দুল্লাহ মাহমুদ ভাইয়ের মানহাজ নিয়ে বলছেন। যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে, মানহাজের মাসআলা কি ধর্মীয় মাসআলার বাইরে যে খুরুজ, তাকফিরের মাসআলা ধর্মীয় মাসআলার অন্তর্ভুক্ত করে বলা যাবে না? আর আপনি যদি মাহমুদ ভাইকে এখানে সালাফী বলার বিরোধিতা করে তাকে বিদআতী সাব্যস্ত করে থাকেন, সেক্ষেত্রে যাকারিয়া স্যার কি আপনার সাথে একমত? যদিও আপনার এই পোস্টে এই ব্যাপারে কিছু বলেননি, তবুও জিজ্ঞেস করছি, আপনি যে উস্তায আব্দুল্লাহ শাহেদকে মুশাব্বিহ, মুয়াত্তিল, কালামী বলে তাবদি করলেন, এটার সাথে কি যাকারিয়া স্যার একমত? এছাড়াও আপনি নাম উল্লেখ না করে যাদেরকে হিজবী, ইখওয়ানী ইত্যাদি ট্যাগ দেন, এসবের সাথে কি যাকারিয়া স্যার একমত? বিদআতী বলা ও সমালোচনার ক্ষেত্রে আপনাকে দেখা যায় আপনি দেশের সালাফী শাইখদের থেকে বেশ কঠোর। এই ক্ষেত্রে আপনার মানহাজে হাদ্দাদিয়্যাত আছে। আর যাদের হাদ্দাদিয়্যাত নেই তাদের সবার সাথেই আপনার আদর্শগত পার্থক্য আছে, কারণ এটা মানহাজের ব্যাপার। আর আব্দুল্লাহ আপনার সাথে আদর্শগত পার্থক্য থাকার কথা উল্লেখ করার পর কি সরাসরি মাযহাবের পার্থক্য থাকার কথা উল্লেখ করেছে যেমনটা আপনার কথায় বোঝা যাচ্ছে? বরং সে শুরুই করেছে উস্তায ফাইযীকে সে সালাফী মনে করে, আশ'আরী আক্বীদাহধারী মনে করে না এটা বলে, যেই উস্তায ফাইযীর বিরুদ্ধে আপনি আশআরী আক্বীদাহ খাওয়ানোর অভিযোগ এনেছিলেন। তারপর সে বলেছে সে জমিয়ত, আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় কোনো দাঈকে বিদ'আতী বলে না, আব্দুল্লাহ মাহমুদ ভাইকেও বিদ'আতী বলে না। অর্থাৎ সে আদর্শগত পার্থক্যের কথা বলার পর বিদ'আতী বলার ক্ষেত্রে আপনার সাথে তার মতপার্থক্য তুলে ধরেছে। অথচ আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে সে আদর্শগত পার্থক্য আছে বলে বলেছে আবূ হাযম যাহিরী কিন্তু আমি যাহিরী না। মাযহাবের পার্থক্যের কথা বলার আগে সে বলেছে, "এগুলো ছাড়াও আরও অনেক বিষয়ে আবূ হাযমের সাথে আমার মতপার্থক্য আছে। আবূ হাযম ভাইয়ের ফিকহি চিন্তাধারা একরকম, আমার চিন্তাধারা আরেক রকম।" দেখুন, এখানে সে ফিকহি মাযহাবের পার্থক্যের কথা বলার আগে "এগুলো ছাড়াও আরও অনেক বিষয়ে..." বলে নিয়েছে। আপনি মোটেই সৎভাবে তার কথা এখানে উপস্থাপন করেননি।
.
“সালাফিদের আক্বীদাহর বই, মানহাজের বই, আসমা ওয়াস সিফাতের কাওয়াইদের বই (!) প্রমোশনকে যামাখশারীর বই প্রমোশনের সাথে তুলনা করে দেবে। অথচ যামাখশারী ছিলো মু'তাযিলী। আসমা ওয়াস সিফাতেই ভুল করা লোক। এ দুঃখ কোথায় রাখি। এমনই আমাদের এই ভাইদের বিচার।”
.
আমাদের মন্তব্য: তুলনা বলতে যদি আপনি বোঝান যামাখশারীর বইয়ের সাথে আপনার অনূদিত আক্বীদাহর বইকে সমান হিসেবে দেখানো হয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনি এটা কোথায় পেলেন? আমি তো পোস্ট থেকে বুঝেছি যে, লেখক বোঝাতে চেয়েছে, প্রয়োজনে যামাখশারীর বই প্রোমোট করলে কেউ যদি যামাখশারীর সাথে একমত হয়ে যায় না, তেমনই আপনার বই প্রোমোট করলেও কেউ আপনার সাথে একমত হয়ে যায় না। যামাখশারীর উদাহরণ দেয়াতে লোকজন বিষয়টা আরো ভালো বুঝতে পেরেছে। কারণ কেউই এই ধারণা করবে না সালাফী উলামারা যারা যামাখশারীর বই প্রয়োজনে প্রোমোট করেছেন তারা তার ভুলগুলোর সাথে একমত। লেখক লিখেছে, "কারও নির্দিষ্ট একটি বই প্রোমোট করার মানে এই নয় যে, সে ব্যক্তি ওই বইয়ের লেখকের মতো একই চিন্তাধারা লালন করে।" সে যামাখশারীর বইয়ের কথা কেন এনেছে এখানে তা একদম স্পষ্ট। এরপরেও আপনি এতে দোষের কী দেখলেন?
.
"তবে এদের কারো মুখে কি শাইখ রাবী', শাইখ রাসলান, শাইখ উবাইদ আল জাবিরী, শাইখ সুলাইমান আর রুহাইলীর নাম মানায়, না লেখায় মানায়?"
.
আমাদের মন্তব্য: আপনার মুখে এই শাইখদের নাম কি মানায়? আপনার সমালোচনার যেই মানহাজ, অর্থাৎ নিজের সাথে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব আছে তাদেরকে যেসব "দোষ"-এর কারণে সমালোচনা করা, সেসব "দোষ" নিজের প্রিয় শাইখের থাকলেও সেগুলোর জন্য তাকে পাবলিকলি সমালোচনা না করা বা উপেক্ষা করা, আপনার চেয়ে বয়সের দিক থেকে বড়ো দাঈদের অশিক্ষিত, শ্রমিক নেতা, শ্রমিকদের শিক্ষক বলা, নাম বিকৃত করা, এসব কাজ এই শাইখরা কীভাবে দেখবেন? ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহর ব্যাপারে যে বলেছিলেন ইবনুল কাইয়্যিম সূফী, সূফীদের বই আমার পড়তে ভালো লাগে না বা পড়িনা, অথচ সেই আপনিই জাহমী 'আক্বীদাহধারী ইবন হাযম এর বিশাল ভক্ত, ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহর ব্যাপারে আলী হাসান খানের পোস্টে বলেছিলেন তিনি বিশ্বাস করেন মৃত ব্যক্তি মাঝেমাঝে শোনেন আর এটা পাগলামি, এছাড়া বলেছিলেন তার শিরকি 'আক্বীদাহ আছে, যখন আপনাকে বলা হলো যেই বইটার আক্বীদাহকে আপনি শিরক বলছেন সেটা শাইখ ইবন বায, শাইখ ইবন উসাইমীন, শাইখ সালিহ আল আশ শাইখ পড়িয়েছেন, আপনি বলেছিলেন আপনি মনে করেন হাম্বলী উলামারা এসব পড়ানোর সময় ইবনে তাইমিয়্যাহর কথাগুলোর তাবিল করেন, আরো বলেছিলেন, তারা ইবন তাইমিয়্যাহর ক্ষেত্রে নম্রতা দেখান কারণ তিনিও হাম্বলী ছিলেন, কিন্তু ইবনে হাযমের ক্ষেত্রে কঠোরতা দেখান, এসব বিষয় যদি এই উলামাদের কাছে পৌঁছানো হয়, তারা আপনার সম্পর্কে কী বলবে? দীনি বিষয়ে আলোচনায় নিজের বংশীয় ইতিহাস ও নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা তুলে ধরে নিজেকে বড়ো করে তুলে ধরা আর অন্যদের ছোটো করার কথা এই উলামাদের জানালে তারা কি বিষয়টা ভালো মনে করবে?
.
"আলহামদুলিল্লাহ আমি যেহেতু হিযবী নই, তাই হিযবীদের সাথে আমার আসলেই আদর্শগত পার্থক্য আছে।"
.
আমাদের মন্তব্য: এখানে কি আপনি আপনার সাথে আদর্শগত পার্থক্য আছে দাবিকারীকে হিজবী বলছেন? উত্তর না হলে এখানে হিজবী বলতে উদ্দেশ্য কে বা কারা? তাদেরকে হিজবী বলার ব্যাপারে যাকারিয়া স্যার কি আপনার সাথে একমত? হিজবী বলে যদি আপনি তাবদি উদ্দেশ্য করে থাকেন তাহলে সেই তাবদির ব্যাপারে কি যাকারিয়া স্যার একমত? আপনি যেহেতু শাইখ রাবীর কথা বললেন, আপনি হয়তো জানেন যে শাইখ ইহইয়া তুরাসকে বিদ'আতী বলেন এবং তাদের নেতা আব্দুর রহমান আব্দুল খালিককে রদ করে বই লিখেছেন। শাইখ কিন্তু তার বইয়ে বড়ো আলিমদের থেকে ভূমিকা লিখিয়ে এনেছেন। তো আপনি দেশে যাদেরকে হিজবী, বিদ'আতী, ইখওয়ানী মনে করেন, আপনার উচিত তাদের পরিচয় উল্লেখ করে, শাইখ রাবীর মতো বিষয়টা স্পষ্ট করা, আর তাদের বিরুদ্ধে ইলমী রদ লিখে তাদেরকে হিজবী, বিদ'আতী, ইখওয়ানী প্রমাণ করা। অতঃপর শাইখ যাকারিয়াকে দিয়ে ওটার ভূমিকা লিখিয়ে এনে প্রচার করা। এক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় হবে, যেমন ১/ শাইখ রাবীর মানহাজ অনুসরণ করা, ২/ নিজের অবস্থান পুরো স্পষ্ট করা, ৩/ নিজের অবস্থানের পক্ষে জ্ঞানী কাউকে এনে সেটাকে আরো শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে মানুষের কাছে উপস্থাপন করা, ৪/ হক কথা বলার আহ্বানে ডাবল স্ট্যান্ডার্ডবাজি থেকে মুক্ত থাকা। আপনি শুধু যাদের সাথে আপনার ব্যক্তিগত দ্বন্ধ আছে তাদেরকেই অমুক তমুকের বিরুদ্ধে বলার আহ্বান জানাবেন কিন্তু যাকারিয়া স্যারকে নীরব থাকতে দিবেন, এটা কীভাবে হয়? স্যার দেশে সালাফীদের মাঝে সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি বা জ্ঞানী ব্যক্তিদের একজন। সালাফীদের মাঝে তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক। হক কথা বলার ক্ষেত্রে, হিজবী, ইখওয়ানীদের মূলোৎপাটনের ক্ষেত্রে এমন কেউ নেই যে তার চেয়ে নেতৃত্ব দেয়ার অধিক উপযুক্ত। নাকি আপনার পক্ষে এটা করা সম্ভব হবে না কারণ যাকারিয়া স্যার আপনার সাথে এসব বিষয়ে একমত না বা একমত হলেও তার কোনো ওজরের কারণে তিনি এটা করবেন না, এবং এটাকে আপনি মেনে নিয়েছেন কিন্তু অন্যদের ক্ষেত্রে আবার মানেন না?
.
"আলেমদের আগে নিজে নিজে সরকারের তাকফির করা ছেলেটির সম্পর্কে শাইখ রাবী' বা শাইখ উবাইদ কি বলতেন?"
.
আমাদের মন্তব্য: আপনি সম্ভবত আব্দুল্লাহ মাহমুদ ভাইয়ের ব্যাপারে বলছেন যে তিনি সরকারকে তাকফীর করেছেন। অথচ তিনি সরাসরি তাকফীর করার বিষয়টা অস্বীকার করেছেন। তিনি তাকফীর করেছেন এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন? নাকি তিনি তাকফীর না করার পরে আপনি কোনোভাবে বুঝে নিয়েছেন তিনি তাকফীর করেছেন যাতে তাকে তাকফিরী ট্যাগ দিয়ে আপনার ব্যক্তিগত বিদ্বেষ উগড়ে দেয়ার সুযোগ পাওয়া যায়? যদি তার ব্যাপারে না বলে থাকেন, তাহলে কার ব্যাপারে বলেছেন স্পষ্ট করা উচিত ছিল আপনার। আপনি কি এসব ছেলেপেলে থেকে মানুষকে সতর্ক করা জরুরি মনে করেন না? আর আপনি যেই ছেলের কথাই বলে থাকেন, আলিমদের আগে নিজে নিজে সরকারকে তাকফীর করার কারণে তার ব্যাপারে হুকুম কী হবে তা আলিমদের জন্য বা দেশে যাকে আপনি জ্ঞানী মনে করেন, যেমন যাকারিয়া স্যারের জন্য ছেড়ে দিচ্ছেন না কেন? আপনি কি কাইজ্জার বিরুদ্ধে, অ্যাকাডেমিক আলোচনার পক্ষে? নাকি সেটা শুধু হারুন ইজহারদের ক্ষেত্রে?
.
"আর সেই ছেলেকে সালাফি ডেকে মাযহাবের পার্থক্য দেখিয়ে সালাফির সাথে আদর্শগত পার্থক্য দেখানো আর কোন আলেমের আগেই সরকারের তাকফিরে বিশ্বাসীকে সালাফি ডাকা আর শুধু দ্বীনের মাস'আলায় পার্থক্য আছে এ কথা বলা মানুষটিকেই কি বলতেন।"
.
আমাদের মন্তব্য: বুঝতে পারলাম আব্দুল্লাহ মাহমুদ ভাইয়ের কথাই বলছেন। এই ব্যাপারে যা বলার সেটা ইতোমধ্যেই বলেছি। আর এখানেও আপনি আব্দুল্লাহ মৃধার কথা তুলে ধরতে সততার পরিচয় দেননি। আপনার সাথে শুধু মাযহাবের পার্থক্য দেখিয়ে আদর্শগত পার্থক্যের দাবি করা হয়নি এটা আগেই দেখিয়েছি। আপনিও তো লেখাটা পড়েছেন। তাহলে কেন বারবার ব্যাপারটা ভুলভাবে তুলে ধরছেন? যাতে আপনার পাঠক ভাবে আব্দুল্লাহ আপনার মতো অসৎ লোক? আপনি মাহমুদ ভাইকে সালাফী ডাকার বিরোধিতা করলেন। তো তাকে যে আপনি তাবদি করলেন, যদি যাকারিয়া স্যার আপনার কাছে ওজর ও ভুল সংশোধনের নাসীহাত পায়, তাহলে সেও কি যাকারিয়া স্যারের মতো কোনো ওজর বা নাসীহাত পাবে না? আমি মোটেই বলছি না যে যাকারিয়া স্যার সরকারকে তাকফীর করার সমপর্যায়ের কিছু করেছেন তাই দুইটা বিষয়ের প্রতিক্রিয়া একই রকম হওয়া উচিত, কিন্তু ওজর ও নাসীহাত কি শুধু যাকারিয়া স্যারের সমপর্যায়ের ভুলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এবং মাহমুদ ভাই যা করেছেন বলে আপনি দাবি করেছেন (বাস্তবে উনি তাকফীর করার কথা অস্বীকার করেছেন যেমনটা আগেও বলেছি) সেটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না? যাকারিয়া স্যারও কি এমন মনে করেন? তিনি কি মাহমুদ ভাইকে বিদ'আতী বলেন? না বললে আপনি কি তার বিরোধিতা করেছেন? না করলে কেন করেননি? যাকারিয়া স্যার যে ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ কুল্লাবী ছিলেন কিনা এই বিষয়ে মাহমুদ ভাইয়ের পোস্ট শেয়ার দিয়েছিলেন, এই বিষয়েও তো আপনাকে কিছু বলতে দেখলাম না, নাকি গোপনে নাসীহাত করেছেন? করলেও তো স্যার আপনার কথা শোনেননি, তার টাইমলাইনে এখনো পোস্টটা শেয়ার করা আছে। সেক্ষেত্রে নাসীহাত করার পরে বিদ'আতীকে প্রোমোট করার কারণে যাকারিয়া স্যারের বিরুদ্ধে আপনি অবস্থান নিচ্ছেন না কেন?
.
"আল্লাহ্ এ ভাইদের হিদায়াত দিন। এদের হাতে সালাফিয়্যাহ আর সালাফি কিছুই নিরাপদ না।"
.
আমাদের মন্তব্য: আপনার কাছ থেকে আপনার সাথে সুসম্পর্ক রাখা লোকজন ছাড়া দেশের কোন সালাফী নিরাপদ এটা একটু জানান আমাদের। আপনি তো তাদের অন্তরে ঢুকে গিয়ে খবর বের করে এনে পোস্ট করে দেন তাদের জনপ্রিয়তার লোভ, তাযকিয়ার লোভ, সাপোর্টের লোভ ও তারা রুটি রুজি কাদের থেকে আসে বলে মনে করে এসব ব্যাপারে।
.
"হিযবীদের দ্বারা পরিচালিত মাদ্রাসা লাইনের সবচেয়ে ভালো সালাফিয়্যাহ আছে বলে যাকে মনে করবে, দুইদিন পর সে হিযবিয়্যাহ দেখিয়ে সালাফিদের সম্পর্কে বাজে কথা বলবে, মিথ্যা কথা বার্তা বলতে কোন লজ্জা করবে না।"
.
আমাদের মন্তব্য: সম্ভবত আপনি আহলে হাদীসদের এক বা একাধিক মাদ্রাসাকে এখানে হিজবীদের দ্বারা পরিচালিত বললেন। সেক্ষেত্রে তাদের হিজবী বলার ব্যাপারে আগের কথাগুলোই বলবো। আর হিজবিয়্যাহ দেখিয়ে সালাফীদের সম্পর্কে বাজে কথা বলা সম্পর্কে যা বললেন, এখানে হিজবিয়্যাহ দেখানো বলতে উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য যদি হয় কোনো দলের পক্ষ নিতে আপনার বিরুদ্ধে বলা, সেক্ষেত্রে এমনটা কে করেছে? আর সে যে দলের পক্ষ নিতে আপনার বিরুদ্ধে বলেছে এটা আপনি কীভাবে জানলেন? আবারো কি কুধারণা করে কথা বললেন? কুধারণা করে মানুষের অন্তরের গোপন বিষয় সম্পর্কে যেসব বলেছেন এই পর্যন্ত, এগুলোর ব্যাপারে যদি কসম করতে বলা হয়, বা যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনেছেন তারা যদি আপনাকে এসব বিষয়ে মুবাহালার আহ্বান জানায়, আপনার নিজের সত্যবাদিতার পরীক্ষা দেয়ার সাহস হবে তো তখন? মিথ্যা বলতে কার লজ্জা করে না এটা তো একদম সূর্যের আলোর মতো স্পষ্ট।
.
"এদের হাত থেকে সালাফিয়্যাহ নিরাপদ না। সালাফিরাও নিরাপদ না। এদের কেউ শাইখ রাবী', শাইখ রাসলান, শাইখ সুলাইমান এর নাম নিলেও সাবধান থেক। এরা আসলে এগুলো মীন করছে না।"
.
আমাদের মন্তব্য: "এদের" না বলে "আমার" বললে একদম উপযুক্ত হতো। আপনার যা অবস্থা তুলে ধরলাম, যেসকল শাইখের নাম উল্লেখ করলেন এগুলো তাদের সামনে তুলে ধরলে তারা হয়তো এটাই বলতেন।
.
"এদের রুটি রোজগার যেহেতু নানা হিযবের উপর আর সেসব হিযবের দ্বারা পরিচালিত মাদ্রাসার উপর নির্ভরশীল তাই এদের দুই একজন সত্য বুঝতে পারলেও তা গোপন করে মিথ্যা বলবে। আল্লাহ্র ভয় খুব কম করবে।"
.
আমাদের মন্তব্য: আপনি জানলেন কীভাবে এরা রুটি রোজগারের কারণে মিথ্যা বলবে? আপনি কি মিথ্যা বলে রোজগার করতে অভ্যস্ত তাই অন্যদের সম্পর্কেও সহজেই এমন ধারণা করতে পারেন? আল্লাহর ভয় আপনার কতোটুক আছে ভালমতোই দেখতে পাচ্ছি।
.
"এদের কাউকে যদি সালাফি মনেও কর, এরা সুযোগমত হিযবের লোকেদের সাপোর্ট পেতে সালাফিদের অপমান করতে রং বদলাবে, আর নিজেদের হিযবের নেতাদের ব্যাপারে একদম চুপ করে বসে থাকবে।"
.
আমাদের মন্তব্য: তারমানে কি এদের সালাফী মনে করা উচিত না? যাদের ব্যাপারে এখানে বলছেন, তাদের কি যাকারিয়া স্যার চিনেন? চিনলে তাদের সালাফী মনে করা বা না করা সম্পর্কে যাকারিয়া স্যারের অবস্থান কী? আর ওই হিজবের নেতাদের ব্যাপারেই স্যারের অবস্থান কী? স্যারও কি তাদের ব্যাপারে চুপ করে বসে থাকেন? থাকলে স্যারের কারণ কী? অন্যদের ব্যাপারে যেমন রুটি রোজগারের কথা বললেন, স্যারের ব্যাপারে কী বলবেন? স্যারেরই শুধু শরিয়তসম্মত ওজর আছে মনে হয়, তাইনা?
.
"হয়তো বিশ্বাস করলে গোপনে স্বীকার করবে, কিন্তু মুখে অন্য কথা বলবে।"
.
আমাদের মন্তব্য: এখানেও সেই দু মুখো হওয়ার কাহিনী এনেছেন। সালাফী দাওয়াতের নামে ইখওয়ানিয়্যাত ও হিযবিয়্যাত নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কে আপনার সাথে দু মুখো আচরণ করেছে এটা নিয়ে এত স্মৃতিচারণ করার মানে কী? দীনি বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েও নিজের উচ্চবংশীয় ও উচ্চশিক্ষিত হওয়ার আলাপে চলে যান। পেইজের নাম "আবূ হাযমের ইসলামী ভাবনা" হওয়ার চেয়ে "আবূ হাযমের জীবনের সুখ ও দুঃখ" হলেই বেশি উপযুক্ত হতো।
.
"শুধু সেফ দুই একজন, যারা হিযবের অংশ না এরকম লোকেদের রাদ্দ করে নিজেদের সিরিয়াস দেখাবে।"
.
আমাদের মন্তব্য: আচ্ছা, আপনার ক্ষেত্রে কি এমন বলা যায় যে, আপনি নিজেই হিজবী, যাকারিয়া স্যারকে নিজের হিজবের অংশ মনে করেন, তাই তাকে রদ করেন না আর অন্যদের রদ করে নিজেকে সিরিয়াস দেখান, আর যাদের এক সময়ে নিজের হিজবের অংশ মনে করতেন, তখন তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতেন না, কিন্তু যখন দেখলেন এরা আপনার হিজবের অংশ না, তখন এদের মাঝে পূর্বে যেসব বিষয় ছিল সেগুলো এখন দোষ হিসেবে তুলে ধরছেন অন্যান্য মিথ্যা অপবাদও দিচ্ছেন?
.
"আমারা যারা সালাফি, তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলে আমরা আমাদের শাইখদের ভুলও অকপটে স্বীকার করি। আমরা দলীয় ব্যক্তির পূজা, শাইখ পূজা করি না। আমরা কোন আলেমেরও পূজা করিনা। দলেরও পূজা করিনা। আমরা সালাফিরা গোপনে ও বাহিরে দুই রকম কথা বলিনা। তবে হ্যাঁ, কারো ত্রুটি বা বড় সমস্যাও বুঝতে পারলে অনেক সময় গোপনে সেসব আলোচনা করি, সত্যাসত্য নিশ্চিত করি। বিষয়গুলোতে মাসলাহাহ ও মাফসাদাহ ওজন করে কাজ করি। কিন্তু দুই রকম বলিনা।"
.
আমাদের মন্তব্য: খুব ভালো কথা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অন্য কেউ মাসলাহাহ ও মাফসাদাহ ওজন করে চুপ থাকছে নাকি জনপ্রিয়তা, সাপোর্ট পাওয়ার জন্য চুপ থাকছে এটা আপনি বোঝেন কী করে? ওপরে উস্তায মতিউর রহমানসহ যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনলেণ তারা মাসলাহাহ, মাফসাদার কথা ভাবেনি, বরং তাদের অন্তরে খারাপ উদ্দেশ্য আছে এটা আপনাকে কি শয়তান ওহী করেছে? আপনার সাথে ভালো কানেকশান আছে বোঝা যাচ্ছে। আর আপনার মতো অসৎ ব্যক্তি মানুষের প্রকাশ্যে বলা কথা যেভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করে তাদের দোষারোপ করেন, গোপনে বলা কথা সঠিকভাবে উপস্থাপন করবেন এমন বিশ্বাস করা কঠিন।
.
প্রিয় পাঠক, দেখলেনতো এই বদবখত এর অবস্থা! পরিশেষে প্রিয়নবী মুহাম্মদূর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর একটি হাদীস দিয়ে শেষ করছি যেখানে তিনি বলেছেন, "একজন মুমিন ব্যক্তি নম্র ও ভদ্র হয়। পক্ষান্তরে একজন পাপী মানুষ ধূর্ত ও চরিত্রহীন হয়।” [তিরমিযী হা/১৯৬৪; মিশকাত হা/৫০৮৫]। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে নম্র-ভদ্র হওয়ার এবং ধূর্তদের সঙ্গত্যাগ করবার তাউফিক দান করুন, আমীন।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....