শাসক হলো আল্লাহর জমিনে আল্লাহর খলিফা। অতএব, আল্লাহ তাআলার নির্দেশের বিরোধিতা করে আল্লাহ তাআলার খিলাফত বা প্রতিনিধিত্ব কখনোই সুষ্ঠ থাকতে পারে না। সুতরাং ভাগ্যবান সেই শাসক যে রাজত্ব বিসর্জন দিয়ে হলেও দ্বীন রক্ষা করে, রাজত্ব রক্ষা করে দ্বীনকে বিসর্জন দেবে না, ন্যায়-বিচারের মাধ্যমে সুন্নাহকে জীবিত করে, জুলুম করে মৃত বানিয়ে ফেলে না, সুষ্ঠ পরিচালনা করে জনগণকে এগিয়ে নিয়ে যায়, খারাপভাবে শাসন করে তাদের ভবিষ্যৎ বিনষ্ট করে না, যাতে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা জোরদার করতে পারে, রাষ্ট্রীয় ভিত্তিকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে, আল্লাহ তাআলার জমিনে তাঁর আদেশ বাস্তবায়ন করতে পারে। কারণ, রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব ও প্রজাদের পরিচালনা করতে গিয়ে দ্বীনের ওপর অটল থাকা কিছুতেই অসম্ভব নয়। আল্লাহ তাআলার ফরজ বিধান পালন করার পর একজন শাসকের কর্তব্য জনগণের মাঝে ইনসাফ করা। তাদের সাথে সদাচরণ করা, দ্বীন ও শরিয়তের মাকাম বুলন্দ করা।
তাকে মনে রাখতে হবে—যদি তার সৈন্য বা জনগণও জুলুম করে, তাহলে এর গুনাহ তার উপরেই চাপবে। যদি তিনি জেনে-বুঝেও নিষেধ না করেন, অথচ তিনি নিষেধ করতে সক্ষম ছিলেন। ঠিক তিনি যদি জনগণের মাঝে ইনসাফ কায়েম করেন, কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ফায়সালা করেন, তাহলে তার একার একদিনের ইবাদাতের সাওয়াবই সমস্ত জনগণের ইবাদতের সমান বা বেশি হবে।
- বই : ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা
- প্রকাশনী : দারুল ইলম
- পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৪১৬
- মুদ্রিত মূল্য : ৫৯০
- বাঁধাই : হার্ডকাভার
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....